‘জামায়াত-বিএনপির সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় মমতা’
১২ নভেম্বর ২০১৪এই খবরটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মমতার ভূমিকা এবং বিজেপির মন্তব্য নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে৷
শামীম আশরাফ খবরটি শেয়ার করে লিখেছেন, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির অঙ্গনে যে পরিবর্তন এসেছে তা বাংলাদেশের বিএনপি-জামাতের হাত ধরে হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি'র৷
বাংলাদেশের প্রধান ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারেও খবরটি বেশ বড় করে ছাপা হয়েছে৷
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এ সংক্রান্ত দুটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনার ‘মূল হোতা' জেএমবি সদস্য সাজিদকে গ্রেপ্তার করেছে সে দেশের পুলিশ৷ অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনাধীন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বর্ধমানে বিস্ফোরণের আলামত লুকানো ও নষ্টের অভিযোগ এনেছে ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া একটি প্রতিবেদনে এ অভিযোগ তুলে ঘটনার তদন্তভার ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থাকে (এনআইএ) দেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা৷
ঢাকা ট্রিবিউনসহ বেশ কয়েকটি প্রধান দৈনিকের শিরোনাম হয়েছিল বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল হোতা সাজিদ খানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি৷ এছাড়া মঙ্গলবার তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তারের খবরটিও সংবাদ শিরোনামে এসেছে৷
ভারতের হিতার্থ মারু লিখেছেন, বর্ধমান বিস্ফোরণের মূল হোতা হিসেবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশি বলে স্বীকার করেছে৷
ভারতের শিবেন্দ্র সিং লিখেছেন, জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য কলকাতার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৬৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এরপর সেটা দেয়া হয় বাংলাদেশের জেএমবিকে৷
দ্যুতিমান বিশ্বাস টুইটারে লিখেছেন, জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য বর্ধমানে মডিউল চালাতো ১৩ দম্পতি৷ এ সংক্রান্ত একটি খবর শেয়ার করেছেন তিনি৷
শুভ রায় এ সংক্রান্ত একটি খবর শেয়ার করেছেন টুইটারে৷
সাজিদ ও অন্য জেএমবি সদস্যদের গ্রেপ্তারের ভিডিও প্রতিবেদনটি শেয়ার করেছেন অনীল কুমার৷
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: জাহিদুল হক