1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অস্ত্র-শস্ত্র

১২ আগস্ট ২০১৮

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় এবং যুদ্ধের পর নদী বা জলাশয়ের পানিতে অস্ত্র, বোমা ও অন্যান্য উপকরণ ফেলা হয়েছিল৷ জার্মানি জুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলাশয়ের পানি কমে গিয়ে এসব সামরিক অস্ত্র-শস্ত্র বেরিয়ে পড়ছে৷ 

https://p.dw.com/p/32wqp
ছবি: picture-alliance/dpa

তাই পুলিশ সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গ্রেনেড, বোমা বা অন্য কোনো সামরিক সরঞ্জাম দেখতে পেলে কেউ যেনো তাতে হাত না দেয়৷ পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জার্মানির পূর্বাঞ্চলের সাক্সনি আনহাল্ট আর সাক্সনি রাজ্যে এল্বে নদীর বিভিন্ন জায়গায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিপুল পরিমাণ বোমা ও অস্ত্র পাওয়া গেছে৷ এগুলোর মধ্যে আছে ২২টি গ্রেনেড, মাইন ও অন্যান্য বিস্ফোরকদ্রব্য৷ পুলিশের এক কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটা পরিষ্কার যে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় এগুলো পাওয়া যাচ্ছে৷''

জার্মানিতে এ বছর জুলাইকে বলা হচ্ছে উষ্ণতম মাস৷ ৩১শে জুলাই সাক্সনি আনহাল্টে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ এ সপ্তাহের শুরুতে সাক্সনি আনহাল্টের মাগডেবুর্গে পানির উচ্চতা রেকর্ড ৫১ সেন্টিমিটার কমে গেছে৷ ১৯৩৪ সালে পানি কমেছিল ৪৮ সেন্টিমিটার৷

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ রকম কোনো অস্ত্র বা সরঞ্জাম দেখতে পেলে প্রথমে তাদের খবর দেয়া হয়৷ এরপর অস্ত্র নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞরা সেখানে গিয়ে পরীক্ষা করে সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করেন৷ যেগুলো নিষ্ক্রিয় করা যায় না, সেগুলোকে খোলা জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ গত মাসে এলবে নদীতে পাওয়া দু'টি অ্যান্টি ট্যাংক মাইন-এর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন অস্ত্র নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞরা৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেক বিস্ফোরক এল্বে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছিল৷ যার মধ্যে অনেকগুলো ভেসে ভেসে চেক প্রজাতন্ত্র-পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে এবং কিছু হামবুর্গের কাছে পৌঁছেছিল৷

এপিবি/ডিজি (ন্যান্সি ইসেনসন, ফল্কার ভিটিং)

প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য