আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীরাও?
১৮ আগস্ট ২০১৩চলতি বছরে এ যাবৎ বাহান্ন হাজারের বেশি মানুষ জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন৷ বছর শেষ হতে হতে সংখ্যা এক লাখ ছাড়াতে পারে, বলে জার্মান সরকারের ধারণা৷ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের ‘‘অধিকাংশই আসছে রাশিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান, সার্বিয়া, ইরান এবং পাকিস্তান থেকে'' – ডয়চে ভেলে-কে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী সচিব ওলে শ্র্যোডার৷ তবে বিশেষ খবরটা হল: জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যাঁরা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্যে যে সাড়ে এগারো হাজার মানুষ রুশ পাসপোর্টের অধিকারী, তাঁদের ৯০ শতাংশই এসেছেন চেচনিয়া থেকে৷
দৃশ্যত চেচনিয়ার বহু মানুষের ধারণা যে, জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করলেই এখানে কাজ করার অনুমতি পাওয়া যায়, যা একটি ভ্রান্তি৷ তবে চেচনিয়া থেকে আগত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে শ'দুয়েক ইসলামপন্থিও আছে, বলে জার্মান গুপ্তচর বিভাগের খবর – অন্তত জার্মান গণমাধ্যমে খবরটা সেভাবেই দেওয়া হয়েছে৷ এই সব চেচেন সন্ত্রাসবাদীদের জার্মানিতে আসার উদ্দেশ্য হল, চেচনিয়ায় তাদের সংগ্রামের জন্য এখানে অর্থ সংগ্রহ করা, এমনকি চেচনিয়ায় যুদ্ধ করতে রাজি, এমন স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করা৷
কিন্তু চেচনিয়া থেকে যে হাজার দশেক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী এ বছর জার্মানিতে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে যদি মাত্র শ'দুয়েক বিদ্রোহী – পক্ষান্তরে সন্ত্রাসবাদী থাকে, তবে বাকিরা আসছে কেন বা কীসের আশায়? তার একটি উত্তর সম্ভবত ককেশাসের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর: প্রত্যেক চেচেন নাকি জার্মানিতে এলে প্রথমেই চার হাজার ইউরো উপহার পায়! মানুষ পাচারকারীরা সঙ্গে সঙ্গে এই খবরটাকে তাদের নিজেদের কাজে লাগায় এবং জার্মানি যাত্রায় অভিলাষী চেচেনদের দলে দলে পোল্যান্ড হয়ে জার্মানিতে ঢোকাতে শুরু করে৷
কিন্তু সেই মওকায় যে সব চেচেন যোদ্ধারা জার্মানিতে ঢোকার চেষ্টা করছে অথবা করবে, ‘‘(তারা)একটি গৃহযুদ্ধ পীড়িত দেশ থেকে আসছে, এবং তারা মানুষ হত্যা করতে শিখেছে,'' বলে সাবধান করে দিয়েছেন জার্মান পুলিশ কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি রাইনার ভেন্ড৷ এ ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ম্যারাথনে যারা বোমাবাজি করেছিল, তারাও ছিল আদতে চেচনিয়ার লোক৷