জার্মানিতে ৩২ বছর পরও চলছে আশ্রয়প্রার্থী হত্যার বিচার
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩তাকে হত্যার মামলায় গতবছর এপ্রিলে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এরপর গত নভেম্বর থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে৷ আগামী মাসে রায় হতে পারে৷
দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের পর ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যেজার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থীরা অন্তত ১,২৫০টি অগ্নিসংযোগের ঘটনার শিকার হন৷ পুলিশ ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে এই তথ্য জানান জার্মানিতে ডানপন্থি, বর্ণবাদী ও অ্যান্টিসেমিটিক সহিংসতার শিকারদের কাউন্সেলিং সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সমিতির কর্মকর্তা হাইকে ক্লেফনার৷
স্যামুয়েল ইয়েবোয়াহ এমনই এক হামলায় মারা যান৷ সারলান্ড রাজ্যের সারলুই শহরের এক আশ্রয়কেন্দ্রে তিনি থাকতেন৷ সেখানে ঘানা ছাড়াও নাইজেরিয়া, আইভরিকোস্ট, মৌরিতানিয়া, সুদান ও বলকান অঞ্চলের আশ্রয়প্রার্থীরা ছিলেন৷
হামলার পর পুলিশ প্রথমে অগ্নিসংযোগ থেকে বেঁচে যাওয়াদের জেরা করেছিল৷ হামলার পেছনে মাদক কেনা-বেচা ও সংগঠিত অপরাধের বিষয় জড়িত থাকতে পারে বলে প্রথমে সন্দেহ করেছিল পুলিশ৷ হামলার বেশ কয়েকদিন পর পুলিশ সারলুই শহরের নব্য নাৎসি সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে৷ তবে একবছর পর তদন্ত বন্ধ করে দেয় পুলিশ৷
এতদিন পর যেভাবে মামলা শুরু
২০০৭ সালে এক বারবিকিউ অনুষ্ঠানে পিটার এস. নামের এক ব্যক্তি এক নারীকে ১৯৯১ সালের হামলার কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘‘ওটা আমি ছিলাম, তারা আমাকে কখনও ধরেনি৷'' এরপর ২০১৯ সালে ঐ নারী যখন জানতে পারেন যে, ঐ হামলায় একজন মারা গিয়েছিলেন তখন ঐ নারী বিষয়টি পুলিশকে জানান৷ পুলিশ তখন তদন্ত শুরু করে৷ পরে গতবছর এপ্রিলে পিটার এস.কে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তার বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট ও বর্ণবাদী বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত হয়ে হত্যা, হত্যার চেষ্টা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গত নভেম্বরে বিচার শুরু হয়েছে এবং এখন তা চলছে৷ আগামী মাসে মামলার রায় দেয়া হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷
এর মধ্যে একই হামলায় জড়িত সন্দেহে আরও দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে গত জুনে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
আন্দ্রেয়া গ্রুনাউ/জেডএইচ