জার্মান ফুটবলার টোনি ক্রোস
১২ জুলাই ২০১৪‘ওয়েটার' তবে মাঠের
ব্রাজিলীয়রা তাঁকে ‘গার্কন' বা ‘ওয়েটার' আখ্যা দিয়েছিলেন৷ খেলার সময় সতীর্থদের নির্ভুল পাস দিতে পারার দক্ষতার জন্য এই নামকরণ তাঁর৷ তবে ফুটবলের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের দেয়া এই ডাকনাম মেনে নিতে আপত্তি নেই তাঁর৷ অবশ্য বাস্তব জীবনে ‘ওয়েটার' হতে মোটেই আগ্রহী নন ক্রোস৷ এমনটি তিনি ভাবতেও পারেন না৷
আদর্শ শিক্ষার্থী নন
ছোটবেলাতেই ক্রোস অনুধাবন করেছিলেন পড়ালেখাটা ঠিক তাঁর কাজ নয়৷ তাই স্কুলের বয়স থেকেই ফুটবলে মনোযোগী হন তিনি৷ সেটার ফলও অবশ্য খারাপ হয়নি৷ মাত্র ১৭ বছর বয়সেই টোনি ক্রোস সুযোগ পান জার্মানির সবচেয়ে বড় ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলার৷ সেসময় তিনি ছিলেন বায়ার্ন দলের সবচেয়ে কনিষ্ঠ খেলোয়াড়৷
ম্যানচেস্টারের পথে
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা পল স্যুর্লে গত মে মাসে বলেছিলেন, রেড ডেভিলদের জন্য ক্রোসের মতো খেলোয়াড় দরকার৷ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ক্রোসের সঙ্গে অর্থকড়ি নিয়ে বিরোধ চলছে বায়ার্নের এবং তিনি ইতোমধ্যে ২০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ক্লাব বদলে সম্মত হয়েছেন৷
ফান খালের সঙ্গে দ্বন্দ্ব
তবে ম্যানচেস্টারে গেলে সেখানে আবারো তিনি পেতে পারেন কোচ লুইস ফান খালকে৷ ডাচ এই কোচ বায়ার্নে থাকাকালে ক্রোসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব একটা মধুর ছিল না৷ ক্রোস আক্রমণভাগে ভালো খেললেও, ফান খাল তাঁকে সুযোগ দিয়েছেন মধ্যমাঠে রক্ষণাত্মক ভূমিকায় খেলার৷ এখন ম্যানচেস্টারে গেলে তিনি আবারো ফান খালের সঙ্গে সমস্যায় জড়াবেন কিনা বলা মুশকিল৷
‘মি. পারফেক্ট' নন
ফুটবলার পিতা এবং সাবেক পূর্ব জার্মানির ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় মায়ের সন্তান টোনি ক্রোসের সঙ্গে কোচদের সম্পর্ক সবসময় ভালো যায় না৷ বর্তমান বায়ার্ন কোচ পেপ গোয়ার্দিওয়ালাও গত মৌসুমে তাঁকে দু'টি ম্যাচ খেলতে দেননি৷ কোচের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে বিরুপ আচরণ করায় এই শাস্তি ভোগ করেন তিনি৷ জার্মান জাতীয় দলের কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ অবশ্য ক্রোসের পক্ষে আছেন৷ তিনি মনে করেন, ক্রোসের মধ্যে পরিপক্কতা এসেছে এবং তিনি এখন তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন৷
এআই/ডিজি (এএফপি)