জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর সম্পর্কে ৬ তথ্য
সবকিছু ঠিক থাকলে আট ডিসেম্বর নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেবেন ওলাফ শলৎস৷ সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির এই রাজনীতিবিদ সম্পর্কে জেনে নিন ছয়টি তথ্য৷
গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা
জার্মান নির্বাচনে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল থেকে চ্যান্সেলর পদে লড়েছেন ওলাফ শলৎস৷ সবকিছু ঠিক থাকলে বুধবার চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেবেন তিনি৷ বিদায়ী খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউ এবং সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি জোট সরকারে একইসঙ্গে ডেপুটি চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ৷
১৭ বছর বয়সে রাজনীতিতে
১৯৫৮ সালের ১৪ জুন পশ্চিম জার্মানির অসনাব্রুকে জন্ম নেন ওলাফ শলৎস৷ ১৯৭৫ সালে হাইস্কুলে পড়ার সময় এসপিডিতে যোগ দেন তিনি৷
রক্ষণশীল অংশের সদস্য
এসপিডির রক্ষণশীল অংশের সদস্য বিবেচনা করা হয় তাকে৷ আবার এটাও ঠিক, তিনি বাম নাকি ডানপন্থি, তা বোঝাও কঠিন৷ এসপিডির যুবদলের ডেপুটি লিডার হিসেবে তার অনেক বক্তব্য ক্যাপিটালিজমের কট্টর সমালোচনা বলে বিবেচিত হয়েছিল৷
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ
১৯৯৮ সালে প্রথমবার জার্মান সাংসদ নির্বাচিত হন শলৎস৷ হামবুর্গে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি৷ ব্যবসায়িক আইন বিষয়ে তার পারদর্শিতা ছিল৷ সে কারণে অর্থনীতি ও ব্যবসা কীভাবে চলে সে সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা ভালো ছিল৷ সেই অভিজ্ঞতা সরকারি কাজে লাগিয়েছেন শলৎস৷
সংকট মোকাবিলায় সক্ষমতা
ইতোমধ্যে কঠিন সংকট মোকাবিলায় দক্ষ এক রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছেন শলৎস৷ করোনা মহামারির সময়টাতে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি৷ সেই সময় ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত অর্থ সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখায় তার ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে৷
দলীয় প্রধান না হলেও হচ্ছেন চ্যান্সেলর
২০১৯ সালে এসপিডির প্রধান পদে লড়েছিলেন ওলাফ শলৎস৷ কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তার চেয়ে রাজনীতিতে কম অভিজ্ঞদের কাছে হেরে গিয়েছিলেন৷ তাতে অবশ্য দমে যাননি তিনি৷ বরং গতবছর তার দল তাকে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়৷ এসপিডি, মুক্ত গণতন্ত্রী দল এফডিপি ও সবুজ দলের গড়া জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেন তিনি৷