1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পপ সঙ্গীত মেলা পপকম

রায়হানা বেগম১৩ অক্টোবর ২০০৮

৮ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত বার্লিনে মহা ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক খ্যাত জার্মান পপ সঙ্গীত মেলা পপকম৷ প্রতি বছরের মত এবছরও পপকমে যোগ দিতে এসেছিলেন হাজার হাজার দর্শক শ্রোতা৷ ৫২টি দেশ থেকে এসেছিলেন ৮৪৩ জন প্রদর্শক৷

https://p.dw.com/p/FYZx
পপকমের মত সঙ্গীত মেলার জনপ্রিয়তা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছেছবি: AP

সাজিয়েছিলেন তাঁদের রকমারী স্টল৷

২০০৩ সাল পর্যন্ত পপকম সঙ্গীতমেলা কোলনে অনুষ্ঠিত হত৷ তারপর থেকে এটি প্রতিবছর বার্লিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ সঙ্গীত ছাড়াও এই মেলায় উপস্থিত হন চলচ্চিত্র, মোবাইল ও ফ্যাশন জগতের অনেকে৷ সঙ্গীত জগতের বিভিন্ন রকম আলোচনা অনুষ্ঠান ও বক্তৃতার আয়োজন করা হয় পপকমে৷ সঙ্গীত পরিবেশন করেন আন্তর্জাতিকখ্যাত নামী দামী সব শিল্পীরা৷ এক এক বছর এক একটি দেশকে প্রাধান্য দেয়া হয়৷

Popkomm 2008 Eröffnungsparty
২০০৩ সালের পর থেকে পপকম প্রতিবছর বার্লিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছেছবি: Messe Berlin

আজকের সঙ্গীত জগতে কারিগরি ও ইলেকট্রোনিক-এর এত আধিপত্য সত্ত্বেও সঙ্গীতের সেই পুরোনো সুরকেই যেন খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এবারের পপকমে৷ মেলা অঙ্গনে সব কিছুই ছিল সঙ্গীতকে ঘিরে৷ ইদানীং সমগ্র সঙ্গীত শিল্পের বাণিজ্যে যে সংকট দেখা দিয়েছে তা কিন্তু অনুভূত হয়নি এই মেলায়৷ আজকাল কম্পিউটার থেকে বেআইনী ভাবে ডাউনলোড করে সঙ্গীত শুনছে ছেলেমেয়েরা৷ পরস্পর পরস্পরকে ধার দিচ্ছে৷ ফলে সঙ্গীতের রেকর্ড, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদির বিক্রী অনেকটাই পড়ে গিয়েছে৷ অন্যদিকে পপকমের মত সঙ্গীত মেলার জনপ্রিয়তা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ মেলায় অংশগ্রহণকারী পূর্ব ইউরোপের রেকর্ড কোম্পানীগুলোর সংখ্যাও বাড়ছে৷

পপকমের ম্যানেজার রাল্ফ ক্লাইনহেন্স এপ্রসঙ্গে বলেন, ঠিক এই পরিস্থিতিটাই আয়োজকরা কাজে লাগাতে পারেন৷ কেননা এই মেলায় সমবেত হন নানা ধরনের দর্শক, প্রদর্শক এবং সংঙ্গীতপ্রেমী বিভিন্ন গোষ্ঠী৷

BdT Deutschland Berlin Popkomm 2008 Rock Head Collection auf der Musikmesse
সঙ্গীত পরিবেশন করেন আন্তর্জাতিকখ্যাত নামী দামী সব শিল্পীরাছবি: picture-alliance/ dpa

সঙ্গীত উত্‌সব, আলোচনা সভা এবং ব্যবসা বাণিজ্য এই তিনের সংমিশ্রণেই পপকম সঙ্গীত মেলা৷ এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ একদিকে বিভিন্ন রেকর্ড কোম্পানি, অনলাইন বিক্রেতা ও কনসার্টের আয়োজকরা কথাবার্তা চালিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে৷ অন্যদিকে সঙ্গীত নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে নানা ধরনের আলোচনাসভা, যাতে বিশেষ করে উঠে এসেছে ব্যবসা বাণিজ্যের দিকটি ৷ আর একদিকে চলেছে সঙ্গীত উত্‌সব৷ হাজার হাজার দর্শক শ্রোতা উপভোগ করেছেন চারশোরও বেশি ব্যান্ড ও একক সংঙ্গীত শিল্পীর সুর ও লয়৷

পপকমে এবছরের অতিথি দেশ ছিল তুরস্ক৷ তুরস্কের রক ও পপ সঙ্গীতগোষ্ঠীগুলো ১৩টি অনুষ্ঠানে পরিবেশন করেছেন উত্তেজনাকর ও মনমাতানো রক, পপ ও ফোক সঙ্গীত৷ পপকমের ম্যানেজার রাল্ফ ক্লাইনহেন্স সামালোচনার সুরে বলেন, বাস্তবিকই সঙ্গীত ক্ষেত্রে এই দেশটির যে এত বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্য রয়েছে, তা ঠিক আমলে আনা হয়না৷ আর এজন্যই আমাদের অতিথি দেশটি পপকমে তুলে ধরতে চেয়েছে যে, সঙ্গীত জগতে তুরস্কের অনেক কিছু দেয়ার আছে৷

তুরস্ক ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকেও এসেছেন বহু শিল্পী ও সঙ্গীত গোষ্ঠী৷ ব্রাজিল ও অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছেন খ্যাতনামা ব্যান্ড ও গায়করা৷ প্রথমবারের মত আমেরিকার একটি স্টলও দেখা গেছে মেলায়৷ ডেনমার্ক ও সুইডেনের একটি স্টলও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সবার৷

সঙ্গীত ব্যবসায়ীরা এই মেলায় সরাসরি বিভিন্ন দেশের সঙ্গীত শিল্পীদের সাথে পরিচিত হতে পারেন, নানারকম চুক্তি করাও সহজ হয় তাঁদের পক্ষে৷ চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীদেরও আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে পপকমের প্রতি৷ এবছর চলচ্চিত্র জগতের বেশ কিছু প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন পপকমে৷ জার্মানির সঙ্গীত শিল্প সমিতির মুখপাত্র ডিটার গরনি বলেন, আজ সঙ্গীত যেমন ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে , আগামীকাল চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তা হতে পারে৷