1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি

৬ জুলাই ২০১০

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির খবর সংবাদ শিরোনামে বেশ প্রাধান্য পাচ্ছে৷ ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষের জের ধরে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে৷

https://p.dw.com/p/OBP3
বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি বহুকাল ধরেই উত্তালছবি: AP

দৈনিক কালের কণ্ঠ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়ার পর লিখেছে, ‘‘এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৭ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে৷ ঘটনা তদন্তে উপ-উপাচার্য ড. ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ এ ছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সংগঠন থেকে ১৩ ছাত্রলীগকর্মীকে বহিষ্কার করেছে৷ পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রমও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে৷'' দৈনিক জনকণ্ঠ লিখেছে, ‘‘সংঘর্ষ শুরুর পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নিজেরা মধ্যযুগীয় কায়দায় বন্দুক, সামুরাই, রাম দা, চাপাতি যোগে একে অপরের ওপর হামলা চালায়৷ এ সময় পিটিয়ে আহত করে চারজনকে চারতলা থেকে নিচে ফেলে দিয়ে আবার তাদের ওপর হামলা চালানো হয়৷ সংঘর্ষের সময় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেলে সে সময় সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে৷ একজন সহকারী প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল হাসান আহত হন৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সজীব গ্রুপের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সংঘর্ষের নির্দেশনা দিয়েছেন৷''

চট্টগ্রামের অশান্ত পরিবেশ সম্পর্কে ‘প্রথম আলো' সংবাদপত্রে সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘‘এমন সংঘবদ্ধ হামলার কাছে নিরীহ জনগণ একেবারে অসহায়৷ শক্তি প্রয়োগ করার এই মানসিকতা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অগণতান্ত্রিক চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটায়৷ এমন দায়িত্বহীন আচরণ শান্তিপ্রিয় নাগরিকেরা প্রত্যাশা করেন না৷ অবশ্য এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা নতুন নয়, প্রায়ই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে৷ আমাদের দেশে কয়েক দশক ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর হিংসা-হানাহানি, অসহিষ্ণুতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে৷ ‘প্রথম আলো'র মতে, ‘‘বিক্ষোভের নামে কারও বাড়াবাড়ি মেনে নেওয়া যায় না৷ সম্পদ বিনষ্ট করার এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে রাজনীতিকদের দায়িত্বশীল আচরণ কাম্য৷ তাঁদের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপে সাধারণ মানুষের জানমালের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, তা দেখতে হবে সরকারকে৷ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সহিংসতার উদ্দেশ্যে শক্তি প্রয়োগ করার এই মানসিকতার অবসান ঘটানোর কোনো বিকল্প নেই৷''

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়