জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
২ নভেম্বর ২০১১বিশ্বের মন্দা কাটাতে বিশেষ করে ইওরোজোনের ঋণ সঙ্কট মোচনে ইউরোপ তথা অন্য দেশগুলিকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবার বার্তা দিতে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং আজ কান শহরের পথে রওনা হবার আগে এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ব মন্দা মোকাবিলায় গোটা বিশ্বকে একজোট হতে হবে৷ ভারত এক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা নিতে চায়৷
ভারতের মত বিকাশমুখী অর্থনীতির জন্য দরকার অনুকূল আন্তর্জাতিক পরিবেশ৷ বিকাশমুখী দেশগুলি যাতে বহুপাক্ষিক ব্যাঙ্কগুলির তহবিলের সুবিধা পায় তা সুনিশ্চিত করা৷ নতুনদিল্লি অন্য দেশগুলির সঙ্গে কার্যকর প্রতিনিধিত্বমূলক পরিচালন ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবনে কাজ করতে চায় যাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা কাঠামোর সংস্কার সম্ভব হয়, বলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন,ইওরোজোনের ঋণ সঙ্কট বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থায় উদ্বেগের উৎস৷
কান'এ শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে মনমোহন সিং মিলিত হবেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি, জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্যান্য ইওরোপীয় নেতাদের সঙ্গে৷
ইওরোজোনের ঋণ সঙ্কটের মোকাবিলায় ভারত কী ধরণের সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে সে প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রতন খাসনবিশ ডয়চে ভেলেকে বললেন, ইওরোজোনের দেশগুলিতে যে পরিমাণ অভ্যন্তরীণ প্রবৃদ্ধি হবার কথা যা থেকে ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, যা থেকে অভ্যন্তরীণ বাজার চাঙ্গা হবে, সেটার কোনটাই তারা করে উঠতে পারছেনা৷এই অবস্থায় ঐসব দেশের অনেক কোম্পানি চাইছে ভারতের বাজারে ঢোকার৷ মনে হয় মনমোহন সিং সেটা মাথায় নিয়ে যাচ্ছেন না৷খুব বেশি হলে তিনি কিছু বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে পারেন৷
বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে কেন্দ্র করে ডলার কেন্দ্রিক অর্থনীতি যেভাবে অপারেট করছিল সেটা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়৷ আগের জি-২০ সম্মেলনে ঠিক হয়েছিল ডলার এবং ইওরোকে পাশ কাটিয়ে অন্য আরেকটা মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করা৷ মনে হয় সেটাও সম্ভব হবেনা৷ ইইউ দেশগুলি যে ধরণের স্টিমুলাস প্যাকেজ আনতে চাইছে, যেমন ঋণছাড় ইত্যাদি সেসব ক্ষেত্রে ভারত পাশে দাঁড়াতে পারে এই পর্যন্ত৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক