1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জুন মাসেই সীমান্ত খুলছে ইউরোপের কিছু দেশ

১৪ মে ২০২০

বুধবার ইইউ কমিশন ইউরোপের অভ্যন্তরীণ সীমান্ত খোলার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে৷ জার্মানিসহ কিছু দেশ সীমান্ত খোলার বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ সংক্রমণ বাড়লে সীমান্ত আবার বন্ধ করা হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3cCCL
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Franke

করোনা সংকটে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সীমান্ত কার্যত বন্ধ রেখেছিল ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ৷ এবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ধীরে ধীরে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার৷ বুধবার জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের মতো ইউরোপের কিছু দেশ অদূর ভবিষ্যতে এমন পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ আবার পুরোপুরি চালু করার সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও আগামী জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে কড়াকড়ি অনেক শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ইইউ স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনর স্টেলা কিরিয়াকিডেস৷ তবে একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যতদিন করোনা ভাইরাস লোপ না পাবে, ততদিন ভ্রমণের ফলে ঝুঁকিও দূর হবে না৷ তাঁর মতে, ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিয়ম শিথিল হলেও সতর্ক থাকতে হবে, সামাজিক ব্যবধান বজায় রাখতে হবে এবং কড়া হাতে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করে যেতে হবে৷

নতুন এই বাস্তবতার মুখে ইইউ সদস্য দেশগুলির উদ্দেশ্যে ভ্রমণের বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে৷ এর আওতায় যে সব দেশ জাতীয় সীমান্তের মধ্যে করোনা সংকট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে, সে সব দেশ বা অঞ্চলের মধ্যে ভ্রমণ চালু করা যেতে পারে৷ তবে পূর্বশর্ত হিসেবে বাড়তি সংক্রমণ সামলাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামো প্রস্তুত রাখতে হবে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তার গতিপথ শনাক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ মোটকথা সীমান্ত খুললে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার আশঙ্কা দেখা দিলে সীমান্ত দ্রুত আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে৷

ইইউ কমিশনের পরামর্শ মেনে বেশ কিছু দেশ বিভিন্ন শর্তে সীমান্ত খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ প্রত্যেক দেশই নির্দিষ্ট পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপের ঘোষণা করছে৷ যেমন জার্মানি সবার আগে শুক্রবার থেকেই লুক্সেমবুর্গ সীমান্তে কড়াকড়ি শিথিল করছে৷ ১৫ই জুন ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত খোলা হবে৷ পর্যটনের উপর নির্ভরশীল দেশ হিসেবে গ্রিস বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সীমান্ত খোলার পথে এগোচ্ছে৷

১৫ই জুন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহির্সীমানাও বন্ধ থাকবে৷ এই সময়কালে সদস্য দেশগুলি ইইউ কমিশনের পরামর্শ মেনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ধীরে ধীরে সেই সীমানাও খোলা হতে পারে৷

বিধিনিয়ম শিথিল করা হলেও পর্যটনের ক্ষেত্রে এখনো অনেক সংশয় রয়ে গেছে৷ কারণ মানুষের মনে এখনো সংক্রমণের আতঙ্ক রয়ে গেছে৷ বিদেশে গিয়ে আক্রান্ত হলে কতটা সাহায্য পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে মনে সংশয় কাজ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ পর্যটন ক্ষেত্র সার্বিকভাবে ইইউ কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও জাতীয় সরকারের পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)