1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এর্দোয়ানের বাকসর্বস্ব বক্তৃতা ভণ্ডামিপূর্ণ!

১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

জেরুসালেম নিয়ে সংঘাতকে কাজে লাগিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নিজেকে মুসলিম জোটের নেতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন৷ কিন্তু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাঁর লজ্জাহীন বাকসর্বস্ব বক্তৃতা ভণ্ডামিপূর্ণ, মনে করেন ডিডাব্লিউর ডানিয়েল হাইনরিশ৷

https://p.dw.com/p/2pLoH
Türkei Sondergipfel der Organisation für Islamische Kooperation (OIC)
ছবি: picture-alliance/AP Photo/L. Pitarakis

তিনি আবার ফিরে এসেছেন৷ দুষ্ট, স্বৈরশাসক, অভদ্রলোক এবং চিরদিনের পলিটিক্যাল ক্যাম্পেইনার রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ ইস্তান্বুলে ওআইসির সম্মেলন শুরুর আগে তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট তাঁর পুরনো খেলায় ফিরে গেছেন৷ ইসরায়েলকে তিনি ‘সন্ত্রাসী ও দখলদারী রাষ্ট্র' হিসেবে উল্লেখ করে ‘সব দেশের' প্রতি ‘জেরুসালেমকে দখলে থাকা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি' দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷

ক্ষোভের পরিচিত প্রতিক্রিয়া

এর্দোয়ান ক্ষুব্ধ৷ এবং তিনি চান, এটা সবাই জানুক৷ মনে হচ্ছে মাঝে কিছুদিনের বিরতির পর তিনি আবার তাঁর ক্রোধপূর্ণ বক্তৃতা দেয়ার রীতিতে ফেরার জন্য প্রস্তুত৷ কয়েকমাস আগে তিনি জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ‘নাৎসি পদ্ধতি' প্রয়োগের অভিযোগ এনেছিলেন৷ তবে এবার তিনি আবার তাঁর প্রিয় বিষয় ইসরায়েলের সমালোচনায় ফিরে গেছেন৷

জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণায় এর্দোয়ান যে আসলেই ক্ষুব্ধ তা যে কেউ অনুমান করতে পারেন৷ ঐতিহাসিক এই শহর শুধু খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের কাছেই বিশেষ অর্থ বহন করে না, মুসলমানদের জন্যও তা সত্য৷

অন্যদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আনা ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র' ও ‘শিশু হত্যাকারী'র সেই পুরনো অভিযোগ অনেকটা রোবটিক শোনায়৷ এবং যেভাবে মুখস্থ ও একঘেঁয়ে উপায়ে অভিযোগগুলো উচ্চারিত হয় তা শুনতে প্রায় বিরক্তিকর মনে হয়৷ তাছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় তুরস্কের ইসরায়েলকে দায়ী করার বিষয়টি ভণ্ডামি মনে হয় এই কারণে যে, সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ নিয়মিত হারে বাড়ছে৷

তারপরও ইহুদি রাষ্ট্রকে আক্রমণ করা থেকে এর্দোয়ান নিজেকে বিরত রাখছেন না৷ ২০০৯ সালে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে দেয়া তাঁর বক্তব্য ভোলার নয়৷ সেই সময় পাশে বসা ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজকে তিনি অপমান ও গালাগালি করেছিলেন৷ তাঁর সেই বক্তব্যের ভিডিও ইউটিউবে ৩০ লক্ষবারের বেশি দেখা হয়েছে৷

ডানিয়েল হাইনরিশ
ডানিয়েল হাইনরিশ, ডয়চে ভেলেছবি: DW/M. Müler

বিভক্ত মুসলিম বিশ্ব

ওআইসি সম্মেলনের আগে এর্দোয়ান বলেছিলেন, ‘‘সম্মেলনে আমরা পুরো মুসলিম বিশ্বকে এক করব৷'' কিন্তু সম্মেলন শুরুর সময় একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এর্দোয়ানের বক্তব্য ছিল একেবারে অর্থহীন৷ ওআইসির ৫৭ সদস্যের মধ্যে মাত্র ২০টি দেশ তাদের রাষ্ট্রপ্রধানকে সম্মেলনে পাঠিয়েছে৷ কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপকারী সৌদি জোটের দেশগুলো উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে৷

কাতার সংকটের পর আর কে মুসলিম বিশ্বের ‘ঐক্যের' বিষয়টি বিশ্বাস করবে? আঞ্চলিক দুই বড় শক্তি সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সংঘাত ছাড়াও তুরস্কের ধর্মীয়-রক্ষণশীল নেতা ও মিশরের সামরিক নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে৷

তবে এর্দোয়ান তাঁর নীতিতে ঠিক আছেন৷ তিনি ‘সবসময় শিরোনাম তৈরি করতে' চান৷ তাঁর বার্তা সবসময় স্পষ্ট ছিল, ওআইসির সম্মেলনেও তা বলবৎ আছে৷ আর তা হচ্ছে, ইসরায়েল একটি ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র', একটি ‘দখলদারী রাষ্ট্র' এবং....এবং....এবং...৷

ডানিয়েল হাইনরিশ/জেডএইচ

Erdogan calls on Jerusalem to be recognized as Palestinian capital

সংবাদভাষ্যটি আপনাদের কেমন লাগলো? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান