জয় দিয়ে প্রমীলা বিশ্বকাপে লড়াই শুরু ব্রাজিল এবং নরওয়ের
৩০ জুন ২০১১জার্মানির শহর ম্যোনশেনগ্লাডবাখে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রাজিল৷ প্রথমার্ধে কোন গোল না পেলেও বিরতির পর বেশ মারমুখী হয়ে ওঠে ২০০৭ সালের রানার্স-আপ ব্রাজিল৷ তবে পাঁচ বারের বিশ্বসেরা ফুটবলার মার্টা বেশ হতাশ করলেন ভক্তদের৷ মার্টার মতো তারকাও অস্ট্রেলিয়ার শক্ত ব্যূহ ভেদ করতে ব্যর্থ হন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫৪ মিনিটে সেই অসাধ্য সাধন করেন ২৮ বছর বয়সি রোসানা৷ বড়মাপের আসরে রোসানার এটিই প্রথম গোল৷ তাই বুধবার বোরুসিয়া পার্ক স্টেডিয়ামে রোসানার জয় জয়কার৷
ব্রাজিলীয় কোচ ক্লেটন লিমাও স্বীকার করেছেন যে, খেলাটি ছিল বেশ কঠিন এবং শক্ত লড়াইয়ের৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে খেলোয়াড়দের অবশ্যই অভিজ্ঞ হতে হয়৷ অথচ তাদের শুরু থেকেই বেশ বিচলিত দেখা গেছে৷ তবে বিরতির পর মেয়েরা বেশ আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে এবং সুসংগঠিত খেলা খেলতে পেরেছে৷'' অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচেই হেরে বেশ হতাশ অস্ট্রেলীয় কোচ টম সেরমানি৷ তবুও এই খেলা থেকে অনেক কিছু অর্জনও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ ভূয়সি প্রশংসা করলেন এবারের বিশ্বকাপ আসরের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় দল ব্রাজিলের তারকাদের৷
দিনের অপর খেলায়, আউগসবুর্গে ইকুয়েটোরিয়াল গিনিকে ১-০ গোলে হারালো নরওয়ে৷ শুরু থেকেই বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে নরওয়ে এবং গিনির তারকা প্রমীলারা৷ কিন্তু ২০০০ সালের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন নরওয়েকে ৮৪ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে একমাত্র জয়সূচক গোলটির জন্য৷ এর আগে তিনবার গিনির গোল পোস্ট থেকে বল ঘুরে গেছে৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে এমিলি হাভির মাপ করা বল আর রুখতে পারেননি গোলরক্ষক মিরিয়াম কিংবা গোলপোস্ট কেউই৷
অন্যদিকে, গিনির কোচ মারসেলো ফ্রিগেরিও'র মেয়েরাও বেশ কিছু বল হাঁকালেন একেবারে নরওয়ের জাল তাক করেই৷ কিন্তু কপাল মন্দই বলতে হয়, গোলের দেখা পাননি একটিও৷ নরওয়ের কোচ এলি ল্যান্ডসেমও স্বীকার করলেন, ‘‘এটা অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিজয়৷ আমরা আরো বেশি গোল করতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটা সম্ভব হয়নি৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী