ঝড়-বৃষ্টির পরেও গরমে হাঁসফাঁস দিল্লি
শুকনো গরমে অভ্যস্ত দিল্লি এখন গলগল করে ঘামছে। বাতাসে আর্দ্রতা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। তাপমাত্রা এখন ৪৩ ডিগ্রি।
৪৯ ডিগ্রির রেকর্ড
সপ্তাহকয়েক আগে দিল্লির তাপমাত্রা রেকর্ড ছুঁয়েছিল। সকাল থেকেই চলছিল তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, এই সময়ে এমন তাপমাত্রা বহুদিনের মধ্যে দেখেনি রাজধানী।
মাঝে স্বস্তির বৃষ্টি
দিল্লির মানুষের জীবনে মাঝে সামান্য স্বস্তি বয়ে এনেছিল ঝড়-বৃষ্টি। যদিও সেই ঝড়ে ভেঙেছে জামে মসজিদের শিখর। গত কয়েকদিনে ফের তাপমাত্রা ঈর্ধ্বমুখী।
চল্লিশের আশপাশে
মে-জুন মাসে বরাবরই দিল্লির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশপাশে থাকে। কিন্তু বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এত বেশি থাকে না। ফলে অস্বস্তি কম হয়। বুধবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি। বৃহস্পতিবারও তাই থাকবে বলে পূর্বাভাষ। আগামী দিনগুলিতে ন্যূনতম তাপমাত্রা বেড়ে ৩২ হবে বলেও জানানো হয়েছে। ফলে গরম আরো বাড়বে।
জলেই জীবন
রাস্তার ধারে ফেলে রাখা ড্রামে জল ভরে গরম থেকে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে এই শিশু। জলই এখন দিল্লির এক নম্বর চাহিদা। পশু-পাখিদের জন্য অনেকেই বাইরে পাত্রতে জল রাখছেন। দোকানগুলিতে ঠান্ডা জলের বোতলের চাহিদা তুঙ্গে।
গরমে আগুন
প্রবল গরমে আগুন লেগে গেছিল দিল্লির অদূরে এই জঞ্জালের স্তূপে।
দেদার শরবত
গরম থেকে বাঁচতে দিল্লিবাসীর ভরসা এখন শরবত। রাস্তায় দেদার বিক্রি হচ্ছে আঁখের রস, বেলের শরবত। পুদিনাপাতা, ধনেপাতা, লেবুর রস দিয়ে বানানো শিকঞ্জি। দরকার না পড়লে কেউ দুপুরে রাস্তায় নামছেন না।
গরিব মানুষের দুর্দশা
প্রবল গরমে মধ্যবিত্তের ভরসা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও মাঠেঘাটে কাজ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, দুপুর-রোদে যে কোনো সময় হতে পারে সানস্ট্রোক।