1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঝুঁকিপূর্ণ মঙ্গল অভিযান

২ আগস্ট ২০১২

প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা এবং ভীতি নিয়ে বিশ্বের মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনছে মঙ্গল গ্রহে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র সাম্প্রতিক অভিযানের সাফল্যের জন্য৷ কারণ ৬ই আগস্ট ঘটতে যাচ্ছে মঙ্গল অভিযানের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা৷

https://p.dw.com/p/15iTI
Curiosity - The Next Mars Rover This artist concept features NASA's Mars Science Laboratory Curiosity rover, a mobile robot for investigating Mars' past or present ability to sustain microbial life. Curiosity is being tested in preparation for launch in the fall of 2011. In this picture, the rover examines a rock on Mars with a set of tools at the end of the rover's arm, which extends about 2 meters (7 feet). Two instruments on the arm can study rocks up close. Also, a drill can collect sample material from inside of rocks and a scoop can pick up samples of soil. The arm can sieve the samples and deliver fine powder to instruments inside the rover for thorough analysis. The mast, or rover's "head," rises to about 2.1 meters (6.9 feet) above ground level, about as tall as a basketball player. This mast supports two remote-sensing instruments: the Mast Camera, or "eyes," for stereo color viewing of surrounding terrain and material collected by the arm; and, the ChemCam instrument, which is a laser that vaporizes material from rocks up to about 9 meters (30 feet) away and determines what elements the rocks are made of. NASA's Jet Propulsion Laboratory, a division of the California Institute of Technology, Pasadena, manages the Mars Science Laboratory Project for the NASA Science Mission Directorate, Washington. For more information about Curiosity is at http://mars.jpl.nasa.gov/msl/ . Image credit: NASA/JPL-Caltech
ছবি: NASA/JPL-Caltech

মঙ্গল অভিযানের দীর্ঘ পরিক্রমায় একের পর এক নানা দুঃসাহসিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলো৷ কিন্তু মহাকাশ গবেষণার অন্যান্য ক্ষেত্রে বেশ সাফল্য আসলেও মঙ্গল গ্রহে অভিযান চালাতে গিয়ে বারবারই জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে বিজ্ঞানীদের৷ এবার প্রায় ১২ বছর ধরে বেশ পাকাপোক্তভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে নাসা৷

মঙ্গল বিজ্ঞান গবেষণাগার নামের এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে পরিচালিত শূন্যে ভারোত্তোলক হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এর সাহায্যে ছোট গাড়ির আকারের একটি যন্ত্র মঙ্গল গ্রহে বসানোর চেষ্টা করছে নাসা৷ আর এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি করা হবে আগামী ৬ই আগস্ট জিএমটি পাঁচটা ৩১ মিনিটে৷

Curiosity Touching Down, Artist's Concept This artist's concept depicts the moment that NASA's Curiosity rover touches down onto the Martian surface. The entry, descent, and landing (EDL) phase of the Mars Science Laboratory mission begins when the spacecraft reaches the Martian atmosphere, about 81 miles (131 kilometers) above the surface of the Gale crater landing area, and ends with the rover safe and sound on the surface of Mars. Entry, descent, and landing for the Mars Science Laboratory mission will include a combination of technologies inherited from past NASA Mars missions, as well as exciting new technologies. Instead of the familiar airbag landing systems of the past Mars missions, Mars Science Laboratory will use a guided entry and a sky crane touchdown system to land the hyper-capable, massive rover. The sheer size of the Mars Science Laboratory rover (over one ton, or 900 kilograms) would preclude it from taking advantage of an airbag-assisted landing. Instead, the Mars Science Laboratory will use the sky crane touchdown system, which will be capable of delivering a much larger rover onto the surface. It will place the rover on its wheels, ready to begin its mission after thorough post-landing checkouts. The new entry, descent and landing architecture, with its use of guided entry, will allow for more precision. Where the Mars Exploration Rovers could have landed anywhere within their respective 93-mile by 12-mile (150 by 20 kilometer) landing ellipses, Mars Science Laboratory will land within a 12-mile (20-kilometer) ellipse! This high-precision delivery will open up more areas of Mars for exploration and potentially allow scientists to roam "virtually" where they have not been able to before. In the depicted scene, Curiosity is touching down onto the surface, suspended on a bridle beneath the spacecraft's descent stage as that stage controls the rate of descent with four of its eight throttle-controllable rocket engines. The rover is connected to the descent stage by three nylon tethers and by an umbilical providing a power and communication connection. When touchdown is detected, the bridle will be cut at the rover end, and the descent stage flies off to stay clear of the landing site. The Mars Science Laboratory spacecraft is being prepared for launch during Nov. 25 to Dec. 18, 2011. Landing on Mars is in early August 2012. In a prime mission lasting one Martian year (nearly two Earth years) researchers will use the rover's tools to study whether the landing region has had environmental conditions favorable for supporting microbial life and for preserving clues about whether life existed. NASA's Jet Propulsion Laboratory, a division of the California Institute of Technology, Pasadena, Calif., manages the Mars Science Laboratory Project for the NASA Science Mission Directorate, Washington. More information about Curiosity is at http://www.nasa.gov/msl and http://mars.jpl.nasa.gov/msl/ . Image credit: NASA/JPL-Caltech
নাসা’র মঙ্গল অভিযানের মডেলছবি: NASA/JPL-Caltech

নাসা আশা করছে, চূড়ান্ত মুহূর্তেও মঙ্গলে পাঠানো মহাকাশ যানটির সাথে তাদের যোগাযোগ চালু থাকবে৷ তবে অ্যামেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং মহাকাশ বিষয়ক ঐতিহাসিক হাওয়ার্ড ম্যাকার্ডি দারুণ উৎকণ্ঠার সাথে জানিয়েছেন, ‘‘আমি এমন অন্তত ১০০টি কারণ জানি, যেসব কারণে এই অভিযানটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে৷ অন্যদিকে, এটি সঠিকভাবে কাজ করার সম্ভাবনাময় মাত্র তিন-চারটি কারণ এবং ব্যাখ্যা আমার কাছে রয়েছে৷''

এছাড়া মঙ্গল গ্রহ নিজেও যে খুব রহস্যময় ও ঝুঁকিপূর্ণ সেটিও কারো অজানা নয়৷ কারণ ১৯৬০ সাল থেকে বিশ্বের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলোর অর্ধেকেরও বেশি সংস্থা মঙ্গল গ্রহে অভিযান চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘটেছে হয় ধুলি ঝড়, নতুবা যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা৷ তাই এই অভিযান নিয়েও বিজ্ঞানীদের উৎকণ্ঠার শেষ নেই৷

মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে ৫০ বছর আগের চেয়ে এখন বিজ্ঞানীরা অনেক বেশি কিছু জানতে পেরেছেন৷ বিশেষ করে, মঙ্গলে বিপুল পরিমাণ পানি ছিল এমন তথ্য জানার সাথে সাথে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়েও আশাবাদী এখনকার বিজ্ঞানী মহল৷ নাসা'র বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই অভিযান সফল হলে মঙ্গল গ্রহের অজানা ইতিহাস উন্মোচন করা সম্ভব হবে৷

এএইচ / ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য