টাইব্রেকারে জাপানকে হারিয়ে শেষ আটে ক্রোয়েশিয়া
৫ ডিসেম্বর ২০২২সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জামার্নি ও স্পেনকে হারিয়ে ই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দল হিসেবে নক আউট পর্বে পা রাখে জাপান৷ ২০০২ সাল থেকে শুরু করে এর আগে তিন বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে পৌঁছালেও কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারেনি তারা৷ স্বপ্ন পূরণ হলো না এবারও৷ টাইব্রেকারে তাদেরকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে চলে গেল গতবারের রানার্স আপরা৷
ম্যাচের শুরু থেকেই ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত রাখে জাপান৷ গোলের বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা তৈরি করলেও প্রথম দিকে কোনটিই লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি৷ ২৫ মিনিট থেকে ২৭ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াও দুইবার জাপানি রক্ষণভাগ ভাঙতে সক্ষম হয়ে বল জালে গড়াতে ব্যর্থ হয়৷ শেষ পর্যন্ত ৪২ মিনিটে ডাইজেন মায়েদার গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ব্লু সামুরাইরা৷
চলতি বিশ্বকাপে প্রথবারের মতো প্রতিপক্ষের আগে গোল দেয়া জাপান ফিরে এসে কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলতে শুরু করে৷ এই সুযোগে ক্রোয়েশিয়া আক্রমণের ধার বাড়ায়৷ ৫৪ মিনিটে ইভান পেরিশিচের গোলে সমতায় ফেরে তারা৷
গোল পুনরুদ্ধারে মরিয়া লড়াই শুরু করে জাপান৷ ওয়াতারু এন্ডোর দূর পাল্লার জোরালো শট ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ঠেকিয়ে না দিলে ৫৬ মিনিটেই আবারো এগিয়ে যেতে পারত তারা৷ ৬২ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে লুকা মদ্রিচের নেয়া জোরালো শট ব্যর্থ করে দেন জাপানি গোলকিপারও৷
নির্ধারিত সময়ে আর গোল পায়নি দুই দলেরই কেউই৷ ম্যাচ গড়ায় বাড়তি ৩০ মিনিটে৷ এই সময়ে দুই দল সতর্কভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার চেষ্টা করে৷ ১০৪ মিনিটে জাপান জোরালো একটি আক্রমণ চালালেও সফলতা পায়নি৷
১২০ মিনিটের খেলাতেও ফলাফল না আসায় টাইব্রেকারে যায় দুই দুল৷ মিনআমিনো, মিতোমা আর ইয়োশিদার শট ঠেকিয়ে জাপানিজদের হৃদয় ভাঙেন ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচ৷
শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল-দ. কোরিয়া ম্যাচে জয়ী দলের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া।