1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডেঙ্গুর টিকা

৩১ জুলাই ২০১২

বাংলাদেশ ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ায় ডেঙ্গু একটি আতঙ্কের নাম৷ তবে সেই ডেঙ্গুর সফল টিকা আবিষ্কারের কথা জানা গেলো দিন কয়েক আগে৷ এর ফলে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে এই অঞ্চলের মধ্যে৷

https://p.dw.com/p/15gua
ছবি: picture-alliance/dpa

ফ্রান্সের ওষুধ তৈরি কোম্পানি সানোফি এসএ অনেক দিন ধরেই এই ডেঙ্গুর টিকা আবিষ্কারের জন্য কাজ করে আসছে৷ সম্প্রতি থাইল্যান্ডে তাদের এই টিকার পরীক্ষা বেশ সফলতা এনেছে৷ গত ২৫ জুলাই তারা জানিয়েছে যে তাদের প্রস্তুত টিকা ডেঙ্গুর চার ধরনের ভাইরাসের মধ্যে তিনটির বিরুদ্ধেই কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে৷

ফরাসি কোম্পানি সানোফি থাইল্যান্ডের চার হাজার শিশুকে এই টিকা দিয়েছিল যাদের বয়স ছিল চার থেকে ১১ বছর৷ এই পরীক্ষা চালানোর সময় তারা খেয়াল করে যে এই টিকা ডেঙ্গুর চারটি ভাইরাসের মধ্যে তিনটির বিরুদ্ধেই বেশ কাজে দিচ্ছে৷ উল্লেখ্য, ডেঙ্গুর চার ধরনের ভাইরাস রয়েছে৷ সানোফির কর্মকর্তারা এখন আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ ফরাসি এই কোম্পানি গত কয়েক বছরে এই টিকা আবিষ্কারের জন্য ৩৫ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করেছে৷ কেবল থাইল্যান্ড নয়, এশিয়া এবং ল্যাটিন অ্যামেরিকার অনেক দেশেই সানোফি ডেঙ্গু প্রতিরোধের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে৷ নতুন এই টিকাটি বাজারে আসতে অবশ্য সময় লাগবে আরও তিন বছর৷ সানোফি ছাড়া আরও একাধিক কোম্পানি ডেঙ্গুর টিকা আবিষ্কারের জন্য কাজ করছে৷ তবে তাদের চেয়ে এগিয়ে গেলো এই ফরাসি কোম্পানিটি৷

নতুন এই খবরটি স্বাভাবিকভাবেই রোগী এবং চিকিৎসকদের মধ্যে আশার আলো সঞ্চার করেছে৷ এর ফলে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হলো৷ বাংলাদেশের রংপুর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. এম মোরশেদ জামান মিয়া জানান যে তিনি নতুন টিকা আবিষ্কারের খবরটি জানতে পেরেছেন৷

গোটা বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের জন্য এই ডেঙ্গু একটি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়াতে এই ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি দেখা যায়৷ এডিস মশার কাছ থেকে এই ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে৷ প্রতি বছর এডিস মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু রোগে অনেকের মৃত্যু ঘটছে৷ গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৬০ লাখ ইউরোর একটি তহবিল ডেঙ্গুর গবেষণার জন্য অনুদান দিয়েছিল৷ দক্ষিণ এশিয়াতে কেন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি সেই প্রশ্ন করলে ডা. এম মোরশেদ জামান মিয়া জানান যে, শীত প্রধান দেশের চেয়ে নিরক্ষীয় এলাকাতেই এই এডিস মশা জন্মায় বেশি৷ তাই আমাদের দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা যায়৷

সাধারণত নোংরা ও ময়লা পানিতেই মশার জন্ম হয়৷ কিন্তু এডিস মশা এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম৷ ডা. জামান মিয়া জানান, পরিষ্কার পানিতেই এডিস মশার জন্ম হয়৷ এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমেও এই ডেঙ্গু রোগটি অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে৷

আক্রান্ত ব্যক্তিকে সময়মত ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হলে আর কোনো বিপদ হয় না৷ তবে এই ক্ষেত্রে দেরি হয়ে গেলে রোগী মারা যায়৷ তবে চিকিৎসা নয়, বিজ্ঞানীরা টিকা আবিষ্কারের মাধ্যমে এই ডেঙ্গুকে একেবারে নির্মূল করতে চান৷ আর সানোফির নতুন টিকা আবিষ্কার এখন সেই সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেছে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম (রয়টার্স)

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম / ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য