টিপাইমুখ বাঁধ নির্মানের প্রতিবাদে লং মার্চ শুরু
৮ আগস্ট ২০০৯টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ কমিটি ও সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ নামে দু'টি সংগঠনের আহ্বানে চলছে এই কর্মসূচী ৷
সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লংমার্চের উদ্ভোধন করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশল বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ৷ তিনি বলেন, টিপাই প্রকল্পের বিষয়ে জনগনের মত উপেক্ষা করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না৷ সরকার যতদিন জনমঙ্গালিক পথে থাকবে ততদিন আমরাও তাদের পাশে থাকব৷ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, টিপাইমুখ বাঁধের কারণে যে সমস্যা হবে তা জনগণের৷ এটি কোন দলীয় বিষয় নয়৷ অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ আরো বলেন, ২০০৩ সালে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নেতৃত্বেই প্রথমবারের মত টিপাইমুখ প্রকল্পের বিরদ্ধে পরিবেশবাদীরা সোচ্চার হয়৷
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী এসআই খান, টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবেদ রাজা প্রমূখ৷ সকাল পৌনে ১১টায় লংমার্চ শহীদ মিনার থেকে বেরিয়ে মুক্তাঙ্গনে পৌঁছে৷ এরপর গাড়িবহর জকিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়৷
পরিবেশ বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী এসআই খান বলেন, ভারতের এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের পূর্ব উত্তরাঞ্চল মরুভুমিতে পরিণত হবে৷
আবেদ রাজা বলেন, ভারত সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মান করতে যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হলে সুরমা, কুশিয়ারা ও মেঘনা শুকিয়ে যাবে৷ আমরা ৫ লাখ লোক নিয়ে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত বৈঠক করব৷ তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে ভারত যদি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে৷
উল্লেখ্য গত ২৯শে জুলাই টিপাইমুখ বাধ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল৷ দলের নেতা আবদুর রাজ্জাক দেশে ফিরে বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কোন প্রকল্প ভারত বাস্তবায়ন করবে না বলে তাদের আশ্বস্ত করেছে৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার