টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফির কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত
গতবছর ঘোষণাটি দিয়ে দিলেন তিনি, ফেসবুকে৷ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর থাকছেন না তিনি৷ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কিছু স্মরণীয় টি-টোয়েন্টি মুহূর্ত থাকছে এখানে৷
অভিষেকেই জয়
২০০৬ সালে খুলনায় জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে মাশরাফির অভিষেক হয়৷ ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে বাংলাদেশেরও অভিষেক হয় সেই ম্যাচের মাধ্যমে৷ ব্যাট হাতে ৩৬ রান আর বল হাতে ২৯ রান খরচায় এক উইকেট নেন তিনি৷ বাংলাদেশ সে ম্যাচ জেতে ৪৩ রানে৷
এক ম্যাচে চার উইকেট
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৯ রান খরচায় চার উইকেট তুলে নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা৷ টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর সবচেয়ে ভালো বোলিং রেকর্ড৷ ২০১২ সালের ২১ জুলাই সে ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল দুই উইকেটে৷
নেতৃত্বে মাশরাফি
টি-টোয়েন্টিতে শুরুর দিকে শাহরিয়ার নাফিসের নেতৃত্বে পেসার হিসেবে দলে ছিলেন মাশরাফি৷ দলকে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব তিনি পান ২০০৯ সালে৷ অধিনায়ক হিসেবে ২৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত এই তারকা ক্রিকেটার৷ এর মধ্যে নয়টি ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ৷
ব্যাটসম্যান মাশরাফি
মূলত পেসার হিসেবে পরিচিতি পেলেও টি-টোয়েন্টিতে শেষের দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে মাঝে মাঝে দলকে অনেকটা এগিয়ে নিয়েছেন তিনি৷ ১৩ দশমিক ৯৬ গড়ে মোট ৩৭৭ রান করেছেন তিনি৷
ইনজুরির ধকল
হাঁটুর ইনজুরি মাশরাফিকে ভালোই ভুগিয়েছে৷ ক্রিকেটের অন্যান্য পরিসরের মতো টি-টোয়েন্টিতেও তাঁর ছাপ দেখা গেছে৷ ২০০৯ সাল থেকে বেশ কয়েকবার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর৷ শ্রীলঙ্কায় হাঁটুতে বিশেষ ধরনের ব্যান্ডেজ লাগিয়ে তাঁর খেলার ছবি ফেসবুক, টুইটারে অনেকে শেয়ার করেছেন৷
অবশেষে বিদায়
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা মাশরাফি নিজেই দিয়েছেন, ফেসবুকে৷ কানাঘুষা অবশ্য আগে থেকেই চলছিল৷ বিশেষ করে বিসিবি সভাপতি এবং কোচের ‘স্বপ্নের তরুণ দলে’ মাশরাফির মতো অভিজ্ঞ এবং প্রবীণদের আর জায়গা হবে না, তা শোনা যাচ্ছিল৷ ম্যাশ অবশ্য বিতর্ক চান না৷ বরং নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে৷ প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁর মতো নেতৃত্বদানের ক্ষমতাধারী উত্তরসূরী কি পাওয়া যাবে? লিখুন মন্তব্যে৷