যে নারীদের টিভিতে দেখা যায় না
২৯ জুলাই ২০১৭জার্মান ফিল্ম-টেলিভিশনের জগতে নারী-পুরুষের আপেক্ষিক অবস্থান বিবেচনা করে দেখছিলেন রস্টক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা৷ জার্মান অভিনেত্রী মারিয়া ফুর্টভ্যাঙ্গলার-এর উদ্যোগে সূচিত এই জরিপে ২০১৬ সালের প্রায় ৩,০০০ ঘণ্টা টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত ৮০০টি জার্মান ভাষাভাষি ছবি পরীক্ষা করে দেখা হয়৷ গত ২০ বছরে এ ধরনের কোনো জরিপ করা হয়নি, বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে৷
জার্মান ফিল্ম-টেলিভিশনে ৩০ বছর বয়স অবধি নারী-পুরুষের অনুপাত প্রায় এক – কিন্তু তার পরেই মহিলাদের অনুপাত কমতে থাকে৷ তিরিশের পর মহিলারা পুরুষদের অর্ধেক ‘রোল' বা চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান – এক প্রাত্যহিক সোপ অপেরা ও টিভি সিরিয়ালগুলি ছাড়া, যেখানে মহিলা চরিত্রের কোনো কমতি নেই৷ কিন্তু সোপ বা সিরিয়াল জার্মান টেলিভিশন প্রোগ্রামগুলির একটি অকিঞ্চিৎকর অংশ৷ পঞ্চাশের পর প্রতি তিনটি পুরুষ চরিত্রের জন্য থাকে মাত্র একটি মহিলা চরিত্র৷
মান্ধাতার আমলের ভাবমূর্তি
জার্মান টেলিভিশনের মহিলা চরিত্ররা দৃশ্যত আজও প্রেম ও বিবাহের স্বপ্নে মশগুল: যে সব মহিলা চরিত্রকে তাদের পেশা অথবা কাজের ভিত্তিতে দেখানো হচ্ছে, তাদের সংখ্যা ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্ক নিয়ে ব্যস্ত নারী চরিত্রদের তুলনায় অর্ধেক – বলে জরিপে দেখা গেছে৷
টক শো-তে এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞ হিসেবে যাদের ডাকা ও দেখানো হয়, তাদের ৭৯ শতাংশই পুরুষ; গেম শো-র হোস্ট, সাংবাদিক এবং নিউজ অ্যাংকরদের ৭২ শতাংশ হলেন পুরুষ৷ এমনকি ছোটদের প্রোগ্রামের প্রতি চারটি চরিত্রের মধ্যে তিনটিই হলো ছেলে৷
একটা বয়সের পরে মহিলারা অদৃশ্য হয়ে যান, টেলিভিশন থেকে উধাও হয়ে যান – বলেছেন ৫০ বছর বয়সি সফল অভিনেত্রী ফুর্টভ্যাঙ্গলার, যিনি বস্তুত পেশায় ডাক্তার৷ তাঁর কাছে এটা এক ধরনের ‘‘সূক্ষ্ম বৈষম্য''৷ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও টপ পজিশনগুলি সবই পুরুষদের অধিকারে, ‘‘মহিলাদের দৃষ্টিকোণ পুরোপুরি অনুপস্থিত'', বলেন ফু্র্টভ্যাঙ্গলার৷
ডাগমার ব্রাইটেনবাখ/এসি
জার্মানিতেও যে এমনটা হয়, সেটা ভাবতে পারেন? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷