1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টয়লেট থেকে মায়ের কোলে

৩১ মে ২০১৩

জন্ম তার টয়লেটে৷ নবজাতক শিশুটি পাইপে আটকে ছিল দু’ঘণ্টা৷ উদ্ধারের পর মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছে হাসপাতালে৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য চীনের জিনহুয়া শহরের এই শিশুটি ফিরেছে মায়ের কোলে৷

https://p.dw.com/p/18hSR
ছবি: Reuters

পাঁচদিন ধরে ওই এক বাচ্চাকে নিয়ে অনেক খবর পরিবেশিত হয়েছে, আলোচনা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চীনের হাজার হাজার মানুষ কাটিয়েছেন ব্যস্ত সময়৷ ছেলেটির মা-বাবা কারা? কেন জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শৌচাগার বা পায়খানার ১০ সেন্টিমিটার পাইপ হলো তার ঠিকানা? ও বাঁচবে তো? ফিরবে তো বাবা-মায়ের কাছে? সব প্রশ্নের জবাব মিলেছে বুধবার৷ মা নিজে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে এসে কোলে তুলে নিয়েছেন ফুটফুটে ছেলেটিকে৷ গাল কাটা আর শরীরে আরো কিছু জায়গায় আঘাত পাওয়া সদ্যোজাত শিশুটিকে পাঁচদিন থাকতে হয়েছে ইনকিউবেটরে৷ তবে চীনের বার্তা সংস্থা জানিয়েছে শিশুটির জীবন এখন শঙ্কামুক্ত৷

এমন শিশুদের ক্ষেত্রে যেমনটি অনুমান করা হয়ে থাকে জিনহুয়া থেকে চীনের বাইরেও বেশ সাড়া জাগানো এই শিশুটির জন্মের পেছনের কাহিনিও তাই৷ ২২ বছরের এক তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যান অপ্রত্যাশিতভাবে৷ সে অবস্থায় অনেকেই হয়ত গর্ভপাত ঘটান৷ কিন্তু সেই তরুণী তা করেননি৷ হঠাৎ প্রসবযন্ত্রণা শুরু হওয়ায় ছুটে গিয়েছিলেন টয়লেটে৷ বসার পরপরই বাচ্চাটি বেরিয়ে পড়ে যায় নীচে৷ তরুণী মা নাকি বাচ্চাকে ধরে বাঁচানোর চেষ্টাও করেছিলেন, কিন্তু ছোট্ট পিচ্ছিল শরীর পিছলে চলে যায় নীচে৷

পরে নিজের সন্তানের উদ্ধারকাজ চলার সময় নাকি কাছেই ছিলেন তিনি৷ বাড়ি ফিরে বাড়িওয়ালার কাছেও বলেছেন দুর্ঘটনাটির কথা৷ সব দেখে পুলিশ নিশ্চিত সন্তানকে জেনেবুঝে হত্যার চেষ্টা তিনি করেননি৷ সুতরাং তরুণীটির বিরুদ্ধে কোনো মামলা হবেনা, যার অর্থ মায়ের কোলেই বেড়ে ওঠার সুযোগ শিশুটি এখন পাবে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য