ড্রোনের সাহায্যে মাদক পাচার
১৬ ডিসেম্বর ২০২০ড্রাগ এবং অস্ত্র পাচারের অভিনব চক্রের সন্ধান পেল পাঞ্জাব পুলিশ। এখনো পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে রিমোট চালিত ড্রোনের সাহায্যে বর্ডারের দুই পারে পাচারের কাজ চলতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ একটি কোয়াডকপ্টার ড্রোন বাজেয়াপ্ত করেছে। এই ধরনের ড্রোন সেনাবাহিনী সীমান্তে ব্যবহার করে। নজরদারির জন্য ভারত-পাক সীমান্তে এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়। সেই ড্রোনকেই নিজেদের কাজে লাগিয়েছিল চোরা পাচারকারীরা। ড্রোনে ড্রাগ এবং অস্ত্র লাগিয়ে তা সীমান্তের এক দিক থেকে অন্য দিকে রিমোটের সাহায্যে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। নিরাপদ জায়গায় সেই ড্রোন নামানো হতো। পাচারকারীরা প্রয়োজনীয় জিনিস খুলে ফের তা পাঠিয়ে দিত সীমান্তের অন্য প্রান্তে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন এবং খালিস্তানপন্থী সংগঠনের যোগ মিলেছে ওই চক্রে। ধৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন নতুন তথ্য মিলছে। সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে চক্রের অন্য পাণ্ডাদের।
যে ড্রোনটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে, তার থেকে একটি .৩২ বোরের পিস্তল, গুলি এবং ড্রাগ উদ্ধার হয়েছে। যে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে তাঁদের নাম লখবীর সিং এবং বাচিত্তার সিং। দুইজনই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। অমৃতসর গ্রামীণ পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করেছে। তাদের জেরা করে খালিস্তানপন্থী সংগঠনের যোগ মিলেছে বলে পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।
পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান দীনকর সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জেরায় লখবীর জানিয়েছেন পাকিস্তানের কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়া চিস্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁদের। পঞ্জাবের কয়েকজন জেলবন্দি ড্রাগ পেডলারও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। লখবীর জানিয়েছেন, চার মাস আগে দিল্লি থেকে তাঁরা ড্রোনটি কিনেছিলেন। তারপর অপারেশন শুরু হয়।
পুলিশের ধারণা, এই ধরনের আরো বেশ কিছু চক্র সীমান্তে কাজ করছে। তাদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)