1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাজ্য

ড্রোন ডেলিভারি নিয়ে পরীক্ষা

২ ডিসেম্বর ২০২৪

আপনি কি চান আপনার অর্ডার করা পিজা আপনার কাছে পৌঁছে দিক ড্রোন? কয়েক বছরের মধ্যে হয়ত সেটা সম্ভব হতে পারে৷ যুক্তরাজ্যে বড় পরিসরে একটি পরীক্ষা চলছে৷ তবে নিরাপত্তা, নীতিমালা ইত্যাদি নিয়ে এখনও অনেক কাজ বাকি আছে৷

https://p.dw.com/p/4nekl
ডেলিভারি কাজে ড্রোন ব্যবহারের কথা অনেকদিন ধরে ভাবা হচ্ছে৷ তবে কিছু জটিলতা আছে৷
ডেলিভারির কাজে ড্রোন ব্যবহারের চেষ্টা চলছে নানা দেশে ছবি: Getty Images/AFP/ANP/S. Van der Wal

ডেলিভারি কাজে ড্রোন ব্যবহারের কথা অনেকদিন ধরে ভাবা হচ্ছে৷ তবে কিছু জটিলতা আছে৷

বর্তমানে আকাশে অনেক বেশি বিমান চলছে৷ এর সঙ্গে ড্রোন যোগ হলে সমস্যা হবে না? বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কী হবে?

আকাশে চলাচলের নিয়মটা সাধারণ: নিচু এলাকা দিয়ে ড্রোন চলে, আর বিমানের জন্য বরাদ্দ উঁচু এলাকা৷

রাস্তার মতো ড্রোনের জন্যও মহাসড়কের প্রয়োজন হবে৷ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ‘ড্রোন করিডোর' নিয়ে পরীক্ষা চলছে৷

যুক্তরাজ্যে বেশ বড় কাজ হচ্ছে৷ কয়েকটি শহরকে জুড়তে ২৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রুট তৈরি করা হয়েছে৷ 

খাবার ডেলিভারি দেবে ড্রোন

যে-কোনো এলাকা দিয়ে করিডোরে ঢুকতে পারে ড্রোন৷ একটি মনিটরিং ব্যবস্থা সম্ভাব্য সংঘর্ষের উপর নজর রাখবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে৷

এখনও কাজ চলছে- তবে পরীক্ষা শেষ হলে সেটি ড্রোন ডেলিভারি বিষয়ে অনেক বড় একটি কাজ হবে৷

২০২৫ সালের শুরুর দিকে সিস্টেমটি বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরু করতে পারে৷

ড্রোন চালক ব়্যামন ডেভিস বলেন, ‘‘আমার মনে হয় একই সময়ে আকাশে অনেকগুলো ড্রোন উড়ানোর এটা একটা সেরা উপায়, কারণ, বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও আমরা তেমনটা করি৷ বিমানও ইচ্ছেমতো যে-কোনো পথে যেতে পারে না, একটা করিডোর অনুসরণ করতে হয়৷''

তবে অনেক সমস্যার মধ্যে মাত্র একটি সমস্যার সমাধান হচ্ছে ড্রোন করিডোর৷

গুজরাট ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির কীর্তন শেনয় বলেন, ‘‘বিমানের এয়ারস্পেসের সঙ্গে ড্রোনকে একত্রিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ, এটাই নিরাপত্তার মূল বিষয়৷''

ভারী ড্রোনের জন্য ‘রিমোট আইডি' দরকার, যেটা আসলে ড্রোনের লাইসেন্স প্লেট৷ এটি দিয়ে ড্রোনকে ট্র্যাক করা যায়, মালিকানা দেওয়া যায়- এটি গুরুত্বপূর্ণ, যেমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে৷

সংঘর্ষ এড়াতে ‘ডিটেক্ট অ্যান্ড অ্যাভয়েড' সিস্টেম দিয়ে ড্রোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷

নিরাপদ যাত্রা শেষে নামার জন্য জায়গা প্রয়োজন৷ বর্তমানে বিমানবন্দরের আশেপাশে ড্রোন চালানোর অনুমতি নেই, তবে ভবিষ্যতে বিমানবন্দরে ড্রোন নামার আলাদা জায়গা থাকতে পারে৷ শহরের কেন্দ্রেও ড্রোন নামার জায়গা থাকবে৷

তবে আপনি শহরে থাকলেও হয়ত আপনার দো়রগড়ায় ডেলিভারি নিতে পারবেন না৷ আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবে৷

কীর্তন শেনয় জানান, ‘‘আমরা বলতে পারি ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের একটা সাধারণ অবকাঠামো গড়ে উঠবে, যেখানে সীমিত পরিসরে হলেও বিমানের এয়ারস্পেসের সঙ্গে ড্রোনের একত্রিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে৷''

তাহলে কবে ড্রোন আপনার পিজা দিয়ে যাবে? এখনও অনেকদিন লাগবে৷

প্রযুক্তির উন্নতি হলেও নীতিমালা, নিরাপত্তা ও দৈনন্দিন জীবনযাপনে বিপত্তি ইত্যাদি নিয়ে এখনও অনেক অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে৷

সত্যি বলতে এক্ষেত্রে ধীরে চলা ভালো, কারণ আকাশ থেকে ড্রোন পড়ে গেলে মারাত্মক শারীরিকসহ অন্যান্য ক্ষতি হতে পারে৷

ডেলিভারি সেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে ড্রোন৷ তবে ড্রোন দিয়ে আপনার দোরগড়ায় পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়৷ এছাড়া আকাশে অসংখ্য ড্রোন উড়ে বেড়ানো আসলেই নিরাপদ কিনা তাও নিশ্চিত নয়৷

প্রতিবেদন: ইউলিয়া ম্যার্ক/জেডএইচ