ঢাবির ৮৩১ কোটি টাকার বাজেট, গবেষণায় মাত্র ১১ কোটি
২৫ জুন ২০২১ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বাজেট উত্থাপন করেন এবং সদস্যদের আলোচনা-পর্যালোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে তা পাস হয়৷ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান৷
মোট ৮৩১ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা বাজেটের মধ্যে ৬১১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ৭৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ৷
গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ কোটি টাকা, যা মোট ব্যয়ের ১ দশমিক ৩২ শতাংশ৷ অন্যান্য অনুদান বাবদ ১ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা প্রস্তাবিত ব্যয়ের ২ দশমিক ৩০ শতাংশ৷ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে৷ ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও এবার তা বাড়িয়ে রাখা হয়েছে ১১ কোটি টাকা৷
২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা টাকার অঙ্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট৷ তবে মহামারির সময়ে খরচ কম হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে তা ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমিয়ে ৭৭৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা হয়েছে৷
সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ৬৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, নিজস্ব আয় ৬০ কোটি টাকাসহ মোট আয় ধরা হয়েছে ৭৩৩ কোটি ৬ লাখ টাকা৷ তাতে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ ৪২ হাজার টাকা ঘাটতি রয়ে গেছে৷ বাজেট অধিবেশনে সিনেট চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দ্বিতীয় শতবর্ষের উপযোগী বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা এখন আমাদের মূল লক্ষ্য৷
ছাত্র প্রতিনিধিদের বিভিন্ন দাবি
সিনেট অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকার আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ডাকসু থেকে মনোনীত সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধিরা৷ একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধকালীন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হলের আবাসিক ফি, পরিবহন ফি মওকুফ করাসহ ডাকসু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বানও জানানো হয়৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)