তিউনিসিয়ার বেন আলি ও তাঁর স্ত্রীকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে
২১ জুন ২০১১অভিযোগ - চুরি ও ঘরে বিশাল অংকের অর্থ ও গয়না রাখা৷
রায়ের বিস্তারিত
বেন আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মোট ৯৩টি৷ একে একে সেগুলোর বিচার করা হবে৷ সেই প্রক্রিয়াই শুরু হয়েছে৷ প্রথমে চুরির মামলার রায় হলো৷ আগামী ৩০ তারিখে হবে অবৈধভাবে অস্ত্র ও মাদক রাখার মামলার রায়৷ একজন বিচারক বলছেন ৩৫ বছরের যে কারাদণ্ডের রায় হয়েছে সেটা এ ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা৷ এছাড়া সাড়ে ৬৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি জরিমানা করা হয়েছে বেন আলি ও তাঁর স্ত্রীকে৷
বেন আলির প্রতিক্রিয়া
রায় নিয়ে বেন আলির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ তবে বিচারকাজ শুরুর আগে তিনি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছেন৷ তাতে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ তাঁর কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এসব অস্ত্র তাঁকে উপহার হিসেবে দিয়েছিল৷ আর যে গয়না পাওয়া গেছে সেগুলো বিদেশি অতিথিরা তাঁর স্ত্রীকে উপহার হিসেবে দিয়েছে, এমনটাই বলতে চেয়েছেন বেন আলি৷ এছাড়া বাসায় পাওয়া যাওয়া অর্থ সম্পর্কে তিনি বলেছেন যে, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য ইচ্ছে করে তাঁর চলে যাওয়ার পর বাসায় ঐ অর্থগুলো রাখা হয়েছে৷ তিনি নিজে তিউনিসিয়া ছাড়তে চাননি বলেও ঐ বিবৃতিতে দাবি করেছেন৷
কীভাবে সৌদি আরব গেলেন?
তিনি বলছেন তাঁকে কৌশলে সরিয়ে দেয়া হয়েছে৷ বেন আলি বলেন তাঁর বিরুদ্ধে চলা বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তার খাতিরে তিনি তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের বিমান করে সৌদি আরবে রেখে আসতে গিয়েছিলেন৷ সৌদিতে নামার পর তিনি বিমানের পাইলটকে বলেছিলেন অপেক্ষা করতে৷ কারণ তিনি ফিরে যাবেন৷ কিন্তু পাইলট তাঁর নির্দেশ অমান্য করে আবার তিউনিসিয়ায় ফিরে যায়৷
তিউনিসিয়ার আন্দোলন
বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা এক ছেলে বেকারত্বের জ্বালা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে৷ পরবর্তীতে এই ঘটনা সাধারণ জনগণের মনে ক্ষোভের আগুন ঢেলে দেয়৷ ফলে শুরু হয় দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ৷ ফলে প্রায় তিন সপ্তাহ পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে চলে যেতে হয় তাঁকে৷ সেটা জানুয়ারি ১৪ তারিখের কথা৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম