তিন সৌদি রাজপুত্র আটক
৭ মার্চ ২০২০সৌদি রাজপরিবারের তিন সদস্যকে শুক্রবার অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়েছে৷ তাদের একজন বর্তমান রাজা সালমানের ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ৷ আছেন রাজার ভাইয়ের ছেলে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফও৷
শুক্রবার তাদেরকে নিজেদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে রয়্যাল গার্ডের সদস্যরা৷ নাম প্রকাশ না করে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল৷
এই দুইজনকে একসময় দেশটির সিংহাসনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হতো৷ তারা বর্তমান রাজা এবং যুবরাজকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত হয়েছেন সৌদি রাজ আদালতে৷ এই দুইজন ছাড়াও প্রিন্স নায়েফের ছোট ভাই প্রিন্স নওয়াফ বিন নায়েফকেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিয় ইয়র্ক টাইমস৷ তবে এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ৷
৮৪ বছর বয়সী সালমান বর্তমানে সিংহাসনে থাকলেও কার্যত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই দেশটির প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করেন৷ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যারা হুমকি হতে পারে রাজপরিবারের এমন সদস্যদের বন্দী ও বিচারের মুখোমুখি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷
নতুন করে রাজপুত্রদের বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপকে যুবরাজের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা৷
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রেন্ড কর্পোরেশনের বিশ্লেষক বেকা ওয়াসার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ক্ষমতা বিস্তারে যারা হুমকি তাদের এরইমধ্যে জেলে দিয়েছেন প্রিন্স মোহাম্মদ, সমালোচকদের হত্যা করেছেন৷ বর্তমান পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে রাজপরিবারের সদস্যসহ অন্যদেরকেও নতুন করে তিনি বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করেন ওয়াসার৷
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রিন্স নায়েফ সৌদি আরবের সাবেক ক্রাউন প্রিন্স এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন৷ ২০১৭ সালে তাকে হটিয়ে ক্রাউন প্রিন্স হন মোহাম্মদ৷ অন্যদিকে সত্তরোর্ধ্ব প্রিন্স আহমেদ লন্ডনে বসবাস করতেন৷ সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যার পর তিনি সৌদি আরব ফিরে আসেন৷
দেশে ফেরার আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে আহমেদের একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে৷ খাশোগজি হত্যা প্রসঙ্গে সেখানে তিনি বলেন, ‘‘রাজপরিবার এই বিষয়ে কী করতে পারে৷ এর জন্য দায়ী নির্দিষ্ট কয়েকজন...রাজা এবং যুবরাজ৷'' তার এই মন্তব্যকে সৌদি রাজপরিবারের নেতৃ্ত্বের বিরুদ্ধে বিরল এক সমালোচনা হিসেবে দেখা হয়েছিল৷ যদিও আহমেদ পরে দাবি করেছেন তাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে৷
এফএস/এডিকে (এপি, এএফপি)
দেখুন ২০১৭ সালের ছবিঘরটি...