1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কের গণতন্ত্র কোন পথে?

৭ নভেম্বর ২০১৬

নেতাদের গ্রেপ্তার করার পর তুরস্কের কুর্দিপন্থি পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এইচডিপি পার্লামেন্ট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে৷ এদিকে, তুরস্কের গণতন্ত্র অন্ধকারের পথে পা বাড়াচ্ছে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন৷

https://p.dw.com/p/2SGov
তুরস্কে কর্দিদের প্রতিবাদ
ছবি: Getty Images/AFP/A. Altan

নেতাদের গ্রেপ্তার করার পর তুরস্কের কুর্দিপন্থি পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এইচডিপি পার্লামেন্ট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে৷ এদিকে, তুরস্কের গণতন্ত্র অন্ধকারের পথে পা বাড়াচ্ছে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, ‘‘এটা তুরস্কের ব্যাপার এবং তাদেরকেই ঠিক করতে হবে, তারা কোন পথে যেতে চায়? তাদের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরবর্তী পদক্ষেপ৷''

রবিবার এইচডিপি জানায়, যতদিন তাদের নেতাদের ছেড়ে দেয়া হবে না, ততদিন তারা পার্লামেন্টের কোনো অধিবেশনে যোগ দেবে না৷ দলের মুখপাত্র আয়হান বিলগেন এক বিবৃতিতে জানান, তারা পার্লামেন্টের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছেন না৷ তবে তারা কোনো অধিবেশনে যোগ দেবেন না৷ শুক্রবার এইচডিপি-র নেতা ও কর্মীসহ ন'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তুরস্ক সরকারের অভিযোগ, এইচডিপি কুর্দি দল পিকেকে-কে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে৷ যদিও এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে দলটি৷

গত বছর পার্লামেন্টের ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে এইচডিপি৷ তাই দলটির সদস্যের উপর এ ধরনের দমন-পীড়ন ভালো চোখে দেখছে না পশ্চিমা বিশ্ব এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর এমা সিনক্লেয়ার-ওয়েব এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এই নেতারা লাখো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের এভাবে আটক করাটা মোটেও গণতন্ত্রের চর্চা বলে গণ্য করা যায় না৷''

অন্যদিকে, পিকেকে-র কট্টরপন্থি একটি অংশ কুর্দিস্তান ফ্রিডম ফ্যালকনস দল টিএকে শুক্রবার সকালে দিয়ারবকির এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে ১১ জন নিহতের ঘটনাটির দায় স্বীকার করেছে৷ ঐ ঘটনায় আহত হয় শতাধিক৷

অবশ্য এই হামলার জন্য পিকেকে-কেই দায়ী করে আসছিল সরকার৷ তবে এই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়, যখন শনিবার এই হামলায় দায় স্বীকার করে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)৷

রবিবার তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়ন অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার ওমর সেলিককে ডেকে পাঠায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা৷ সেখানে তার কাছে তুরস্কের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়৷ তুরস্কে বাক স্বাধীনতা এবং বিরোধী দলের উপর দমন-পীড়নের ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে তাদের সদস্য পদ পাওয়ার বিষয়টি আবারো অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে৷

Videos show detention of Kurdish MPs

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য