1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ভারতের কোভ্যাকসিন

২৩ অক্টোবর ২০২০

তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু করছে ভারতের কোভ্যাকসিন। অন্যদিকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের এক স্বেচ্ছাসেবক মারা গেছেন।

https://p.dw.com/p/3kJx4
ছবি: Cheryl Gerber/Johnson & Johnson/AP/picture-alliance

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে মৃত্যু হলো এক স্বেচ্ছাসেবকের। অক্সফোর্ড জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি ব্রাজিলে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তবে মৃত্যুর কারণে আপাতত ট্রায়াল বন্ধ হবে না বলেই অক্সফোর্ড জানিয়েছে। আদৌ ভ্যাকসিনের কারণেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। অন্য দিকে ভারতে তৈরি আরো এক করোনা ভ্যাকসিন, কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হবে বলে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সফল হয়েছে বলে তাদের তরফে জানানো হয়েছে।

ভারতে এই মুহূর্তে চারটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছে। সেই ট্রায়ালও এখন তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছে হায়দরাবাদের একটি সংস্থা। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সফল হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তারা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করবে। ভারতের মোট ১০টি রাজ্যের ১৯টি অঞ্চলে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হবে বলে তারা জানিয়েছে। মোট ২৮ হাজার ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। যাঁদের বয়স ১৮ বছরের উপরে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উদ্ধারে কোন ভ্যাকসিন?

এ দিকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে ফের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে অ্যামেরিকায় ওই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। যার জেরে বেশ কিছুদিন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার ব্রাজিলে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁর উপর ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ হলেও মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। অক্সফোর্ডও জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত ট্রায়াল বন্ধ হবে না। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলবে।

ভারতে তৈরি কোভ্যাকসিন নিয়ে এর আগে বহু বিতর্ক হয়েছে দেশে। নরেন্দ্র মোদী চেয়েছিলেন ১৪ অগাস্ট কোভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা করে দিতে। কিন্তু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল সায়েন্স তাতে রাজি হয়নি। বলা হয়েছিল, পরীক্ষা না করে ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়া উচিত হবে না। শুক্রবার জানানো হয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা সফল হলে আগামী বছরের গোড়াতেই ওই ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়া হবে।

এই দুইটি ভ্যাকসিনের বাইরেও ভারতের একটি ফার্ম করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করেছে। তাদের ট্রায়াল আপাতত দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। রাশিয়ার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও হচ্ছে ভারতে। তবে কোনো ভ্যাকসিনই আগামী বছরের আগে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)