1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ত্রুটিমুক্ত’ যুদ্ধের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিক

ক্যার্স্টিন ক্নিপ/জেডএইচ১ জানুয়ারি ২০১৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জার্মান সামরিক বাহিনীর আফগান ‘সন্ত্রাসীদের’ একটি ‘হত্যা তালিকা’ দেয়ার খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জার্মানরা৷ আসলে সত্য স্বীকার করা কখনও কখনও যন্ত্রণার কারণও হয়ে উঠতে পারে, মনে করেন ক্যার্স্টিন ক্নিপ৷

https://p.dw.com/p/1EDro
USA Drohne US Predator
ছবি: AP

প্রকাশিত কয়েকটি তথ্য অস্বস্তিকর৷ এতটাই অস্বস্তির যে, অনেকে সেগুলো উপেক্ষা করবে৷

এমনই একটি তথ্য হলো, একসময় আফগানিস্তানে নিয়োজিত থাকা আন্তর্জাতিক বাহিনীর নীতিমালার মধ্যে থেকে জার্মান সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা পর্যবেক্ষণ, আটক, এমনকি হত্যার জন্য কয়েকজনের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সরবরাহ করেছে৷ জার্মান দৈনিক ‘বিল্ড' তাদের প্রতিবেদনে এই তালিকাকে ‘হত্যা তালিকা' বলে উল্লেখ করেছে৷

এই বিষয়ে জার্মানদের বিস্মিত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, আজকের আধুনিক যুগেও কিছু ঘটনা ‘অজানা' থেকে যেতে পারে৷ ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম এই তালিকার অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়৷ ঐ বছরের ৮ সেপ্টেম্বরের তারিখ দেয়া ‘প্রিন্টেড ম্যাটার ১৭/২৮৮৪' শীর্ষক কাগজপত্রে জার্মান সরকার তালিকায় থাকাদের নিয়ে কী করা হবে তার একটি বর্ণনা দিয়েছে৷ সেখানে তাদের আটকের কথা বলা হয়েছে৷ অবশ্য সরকার এটাও বলেছে যে, তাদের (তালিকাভুক্তদের) ‘সম্ভাব্য সামরিক টার্গেট' করা যেতে পারে৷ সহজ কথায় এর মানে হলো, তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা সামরিক অভিযানের লক্ষ্য হতে পারে এবং পরিণামে তাদের হত্যা করা যেতে পারে৷

Deutsche Welle Kersten Knipp
ক্যার্স্টিন ক্নিপছবি: DW/P. Henriksen

জার্মান সরকার অবশ্য ‘টার্গেটেড কিলিং' বিষয়টির অনুমোদন দেয়নি৷ তবে সেটার সম্ভাবনাও নাকচ করেনি৷ জার্মান সামরিক বাহিনী ন্যাটোকে সেই তালিকা সরবরাহ করেছে৷

বিল্ড পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে ‘মিলিটারি টার্গেটস' শব্দটি ব্যবহার করে একটি বিষয় পরিষ্কার করেছে যে, ভবিষ্যতে কি হতে যাচ্ছে সেটা জানাই ছিল৷ এসব ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল সবসময় খোলাসা ছিল৷

‘ভালো লোক', নোংরা হাত

যুদ্ধের সময় ‘ভালো লোক'-এর হাতেও যে ময়লা লাগতে পারে, এই তালিকা তার প্রমাণ৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের ধারাগুলো যুদ্ধের সময় ঠিকভাবে মেনে চলা সম্ভব হয় না – অন্তত যেমন হওয়া উচিত, তেমনভাবে নয়৷

অস্বস্তিকর কয়েকটি প্রশ্ন

আত্মরক্ষার অধিকারের বিষয়টি কখন প্রযোজ্য হবে, যেটা টার্গেটেড কিলিং এর বিষয়কে আইনসম্মত করবে? ‘প্রত্যাশিত' আত্মরক্ষার বিষয়টি কার কাছে কেমন হবে? অন্য কথায় বলা যায়, হামলা ঠেকাতে শত্রুর উপর কখন আক্রমণের অনুমতি দেয়া যেতে পারে? এবং কখন এটা আইনসম্মত হবে?

আরও কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলোর উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি৷ ‘যোদ্ধা' আর ‘সন্ত্রাসী'-র সংজ্ঞা আসলে কী? একটি অভিযানে কতজন সাধারণ মানুষ হত্যা করা যায়? ভয়ংকর এক অপরাধীকে হত্যা করতে গিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা যায় কিনা, করলে কতজন?

যে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হচ্ছে সেটা কতখানি বিশ্বাসযোগ্য তা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ এমন অনেক অভিযান পরিচালিত হয়েছে যার জন্য অনেক মানুষ মারা গেছে – অথচ যার জন্য অভিযান তার কিছু হয়নি, কারণ তাঁর তখন সেখানে থাকার তথ্যটি ঠিক ছিল না৷ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ‘দুঃখিত' বলে পার পাওয়া যাবে না৷ মানুষের মূল্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ আফগানিস্তানের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান