1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অচলাবস্থা অব্যাহত

হাফসা হোসাইন১ ডিসেম্বর ২০০৮

ব্যাংককে অবরুদ্ধ দুটো বিমানবন্দরে অবস্থান আরো জোরদার করেছে সরকার বিরোধীরা৷ প্রধানমন্ত্রীর অফিস অবরোধকারীরাও সেখান থেকে সরে গিয়ে বিমানবন্দরগুলোতে জড়ো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/G707
বিক্ষোভরত পিএডি কর্মীরাছবি: AP

রাজনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিনই জটিল হয়ে উঠছে থাইল্যান্ডে৷ বিমানবন্দর থেকে অবরোধ তুলে না নিয়ে তা আরো জোরদার করছে পিপলস অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্র্যাসি- পিএডি কর্মীরা৷ ৷ রোববার ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে অবস্থানকারী পিএডি কর্মীদের উপর সরকারপন্থীদের গ্রেনেড হামলার পর থেকে কর্মীরা অবরুদ্ধ বিমানবন্দর দুটোতে অবস্থান নিতে শুরু করে৷ পিএডি-র মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বার বার হামলার কারণে সেখানে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ৷ বিক্ষোভকারীদের উপর গ্রেনেড হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২ জন৷ তাই বিক্ষোভ আরো জোরদার করতে অবরোধকারীদের সবাইকে বিমানবন্দরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ সরকার পতনের দাবিতে গত আগস্ট থেকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস অবরোধ করে রেখেছিলো বিরোধীরা৷ তিন মাস ধরে অফিস অবরুদ্ধ থাকায় থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চিয়াং মাই থেকে সাময়িকভাবে কাজকর্ম চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী সোমচাই ওংসাওয়াত৷

এদিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধীদের চুক্তির পর সোমবার ৩৭টি যাত্রীবিহীন ফ্লাইট সূবর্ণভূমি বিমানবন্দর ছেড়েছে৷ চুক্তি অনুযায়ী ৮৮টি যাত্রীবিহীন ফ্লাইট বিমানবন্দর ছাড়তে পারবে৷ ওসব ফ্লাইটে করে আটকে পড়া যাত্রীদের থাইল্যান্ডের অন্যান্য বিমানবন্দরের মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হবে৷ ব্যাংককের দুটো বিমানবন্দর অবরুদ্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে সাড়ে ৩ লাখ যাত্রী৷ বুধবার পর্যন্ত বিমানবন্দর দুটো বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ৷ যাত্রীদের শত শত মাইল দূরে থাইল্যান্ডের অন্যান্য বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে৷ ব্যাংকক থেকে ফুকেট বিমানবন্দর যাওয়ার পথে সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে হংকং-এর এক নাগরিক৷

অন্যদিকে, থাইল্যান্ডে আটকে পড়া নিজ দেশের নাগরিকদের দেশে নিয়ে ফিরিয়ে নিতে ফুকেট এবং ব্যাংককের দক্ষিণ-পূর্বে একটি নৌঘাঁটিতে বিশেষ ফ্লাইট পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং স্পেন৷

বিরোধীদের বিমানবন্দর অচল করা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার মধ্যে থাইল্যান্ডে এবার দেখা দিয়েছে নতুন আরেক উত্তেজনা৷ মঙ্গলবার সাংবিধানিক আদালত ঘেরাও করার চিন্তা করছে সরকারপন্থীরা৷ কারণ মঙ্গলবারই সরকারের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতি মামলার রায় দেবে আদালত৷ রায়ে ক্ষমতাসীন দল পিপিলস পাওয়ার পার্টি- পিপিপি বিলুপ্ত ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী সোমচাই-এর উপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

থাইল্যান্ডের এই ঘোলাটে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে টালমাটাল অবস্থা শেয়ার বাজারেও৷ সোমবার দেশটির প্রধান শেয়ার বাজারে সূচক পড়ে গেছে প্রায় পৌনে তিন শতাংশ৷