থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল
১ নভেম্বর ২০২১পূর্ব ইউরোপে আবার দেখা দিচ্ছে কোভিড-১৯-এর প্রকোপ৷ তাই কঠোর লকডাউনে ফিরছে কয়েকটি দেশ৷ করোনা অতিমারির শুরু যেখানে, সেই চীনেও নতুন করে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক৷ সংক্রমণের হার বড় দুশ্চিন্তা হওয়ার আগেই রোগটির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স' ঘোষণা করেছে সে দেশের সরকার৷
কিন্তু থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর ইসরায়েলের চিত্র অনেকটাই অন্যরকম৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে গিয়ে এখন আর পর্যটকদের কোয়ারান্টিনে থাকতে হচ্ছে না৷ চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ মোট ৬০টি দেশের নাগরিকদের দেয়া হয়েছে এমন সুযোগ৷ ফলে রাজধানী ব্যাংককের বিমানবন্দরে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়৷ বিশেষ করে ইউরোপের শীত এড়িয়ে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন দ্বীপের উষ্ণ প্রকৃতির বুকে সময় কাটাতে আগ্রহীদের ভিড়টা খুব চোখে পড়ার মতো৷
অস্ট্রেলিয়া অবশ্য সব দেশের পর্যটকদের জন্য নিয়ম শিথিল করেনি৷ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট এবং তাদের নিকটাত্মীয়দের বাইরে আপাতত শুধু নিউজিল্যান্ডের নাগরিকেরাই পেয়েছেন কোয়ারান্টিন ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের সুযোগ৷ তবে সারা দেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ এখনো দেয়া হয়নি৷ আপাতত হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যেই যেতে পারছেন তারা৷
তবে আগামী ২১ নভেম্বর থেকে সিঙ্গাপুরের পর্যটকদেরও সহজ নিয়মে ভ্রমণের সুযোগ দেবে অস্ট্রেলিয়া৷ ধারণা করা হচ্ছে, তারপর থেকে করোনা প্রায় নেই এমন অন্য দেশগুলোর নাগরিকদেরও পর্যায়ক্রমে এই সুযোগ দেয়া হবে৷
ইসরায়েল অবশ্য করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে এখনো ভ্রমণবিধি পুরোপুরি শিথিল করেনি৷ তারা পর্যটকদের ‘ইসরায়েলে স্বাগতম' বলছে ঠিকই, তবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নিয়েছেন এমন মানুষদেরই শুধু প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে৷ সর্বশেষ ডোজ নেয়ার পর ছয়মাস পেরিয়ে গেলে বুস্টার ডোজ নেয়া ব্যক্তিরাও এখন ইসরায়েলে যেতে পারছেন না৷
এসিবি/কেএম (রয়টার্স)