কোরীয় উপদ্বীপে সংকট
২৭ এপ্রিল ২০১৭উত্তর কোরিয়া একের পর এক ‘প্ররোচনামূলক' পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়া ও অ্যামেরিকা মনে করে৷ ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার তোড়জোড় করে জোরালো তৎপরতা দেখাচ্ছে পিয়ং ইয়ং৷ এর জবাবে আপাতত আরও নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক চাপের মাধ্যমে জবাব দিতে চায় দুই দেশ৷ যেমন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জোরালো প্রস্তাব অনুমোদনের প্রস্তুতি চলছে৷
সেইসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সমরসজ্জাও বাড়ানো হচ্ছে৷ তারই অঙ্গ হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা বসানোর কাজও এগিয়ে চলেছে৷ কয়েক দিনের মধ্যেই সেটি কার্যকর হয়ে যাবার কথা৷
মার্কিন রণতরি ও পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন প্রস্তুত রাখা হচ্ছে৷ ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা উত্তর কোরিয়াকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷
এই পরিস্থিতিতে চীনে অস্বস্তি বেড়ে চলেছে৷ উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশ হিসেবে চীন এখনো সে দেশের উপর তেমন প্রভাব খাটাতে ব্যর্থ হয়েছে৷ অন্যদিকে ঘরের দোরগড়ায় এত বড় মাত্রায় মার্কিন সমরসজ্জা তাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ বিশেষ করে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা চীনের প্রতিরক্ষা কাঠামোর জন্য বিশেষ দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে, কারণ, চীনের ভূখণ্ডের একটা বড় অংশ সেটির আওতায় পড়ছে৷ এ কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সমালোচনার পাশাপাশি সব পক্ষের উদ্দেশ্যে সংযমের ডাক দিচ্ছে বেইজিং৷
এমন পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ বাড়াতে নিজেরাই চাপের মুখে পড়ছে বেইজিং৷ চীনের সক্রিয় ভূমিকার কিছু লক্ষণ চোখে পড়ছে৷ গত সপ্তাহ থেকে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে পেট্রোলিয়াম সংকট দেখা দিয়েছে৷ ফলে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ও অনেক পণ্যের যোগান কমে গেছে৷ মূলত চীনই উত্তর কোরিয়ায় জ্বালানি সরবরাহ করে৷ জ্বালানিসহ অনেক জরুরি পণ্য চীনের ভূখণ্ড থেকেই সে দেশে আসে৷ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বড় আকারে চালু থাকলেও চীন উত্তর কোরিয়ার আচরণে বিরক্ত হয়ে কিছু ক্ষেত্রে কঠোর হচ্ছে বলে কিছু মহল মনে করছে৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)