গুঁতো সামলাচ্ছে ফিফা
২১ জুন ২০১৪৯০ সেকেন্ডের মধ্যে জাতীয় সংগীত শেষ করতে হবে – এটাই স্থির করে দিয়েছে ফিফা৷ কিন্তু সমস্যা হলো সব দেশের জাতীয় সংগীত তো সমান নয়! দেশ অনুযায়ী দেশাত্মবোধেরও তফাত রয়েছে৷ যেমন দক্ষিণ অ্যামেরিকার মানুষ নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন৷ তাই তারা স্টেডিয়ামে এসে বেশ আবেগের সঙ্গে নিজেদের জাতীয় সংগীত গেয়ে চলেছেন৷ তাঁদের মধ্যে অনেকের কাছে ৯০ সেকেন্ড যথেষ্ট নয়৷ তাই মাঠে বাজনা থেমে গেলেও তারা দিব্যি গেয়ে চলেছেন৷ খেলোয়াড়রাও তখন আর ঘড়ি দেখে আবেগ চেপে রাখতে পারেন না৷ খোদ ব্রাজিলের ক্যাপ্টেন টিয়াগো সিলভা বলেছেন, দর্শকদের সমবেত গান শুনলে বেশ প্রেরণা পাওয়া যায়৷ খেলার উপরেও তার প্রভাব পড়ে৷
আসলে এই প্রবণতা নতুন নয়৷ ব্রাজিলের সমর্থকরা গত বছরই জাতীয় সংগীত গাওয়ার লাগামছাড়া প্রবণতা চালু করেছিলেন৷ তাঁদের দেখাদেখি চিলি ও কলম্বিয়ার সমর্থকরাও গানে গলা মেলাচ্ছেন৷ সত্যি বলতে কি, কোনো বাজনা ছাড়াই হাজার হাজার মানুষের কণ্ঠে গান শুনলে কার না রোম খাড়া হয়! প্রতিপক্ষ টিম ও তার সমর্থকরাও তখন কিছুটা চুপসে যায়৷ এবারের বিশ্বকাপে চিলির সমর্থকরা দু'টি ম্যাচে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন৷ কলম্বিয়ার সমর্থকরাও গ্রিসের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাজনা থামার প্রায় ৩০ সেকেন্ড পরেও গান চালিয়ে গেছেন৷ কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিলের সমর্থকরা৷ তাঁদের প্রায় ৪ মিনিটের জাতীয় সংগীতকে ৯০ সেকেন্ডে কমানো কঠিন৷ অনেক কাটছাঁট করেও শেষ পর্যন্ত বাজনা থামার ১ মিনিট পর্যন্ত গান চলছে৷
ফিফা এই প্রবণতা লক্ষ্য করছে বটে, কিন্তু এখনই নিয়ম বদলানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই৷ তাছাড়া এই নিয়ে মাঠেও কোনোরকম গোলযোগ দেখা যায়নি৷ প্রতিপক্ষ টিম, কর্মকর্তা বা সমর্থকরা বিষয়টি লক্ষ্য করেও যথেষ্ট শ্রদ্ধা দেখাচ্ছেন৷
এসবি/ডিজি (এপি, এএফপি)