দার্জিলিং পাহাড়ে ফের ধোঁয়াশা
১৯ জুন ২০১২জিএনএলএফ নেতা সুবাস ঘিসিং কয়েকদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করে অভিযোগ আনেন, ২০১১ সালের গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ চুক্তিটি সংবিধান সম্মত নয়৷ কারণ ১৯৮৮ সালের দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল আইন সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনীতে পরিষ্কার বলা আছে, যদি কখনও ডিজিএইচসি আইন প্রত্যাহার করা হয়, তা হলে পাহাড়ের সমস্ত অঞ্চল ভারতীয় পঞ্চায়েত ও পুরসভা আইনের আওতায় চলে আসবে৷ ঘিসিংয়ের পক্ষের আইনজীবী, কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষ আদালতকে বলেন, সংবিধান সংশোধন না করে জিটিএ চুক্তি প্রয়োগ করা যায় না৷
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এই পিটিশনের শুনানির পর, এই মামলার সংশ্লিষ্ট অন্য তিন পক্ষ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে আদালতে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছে৷
বিরোধী বামফ্রন্ট এদিকে অভিযোগ তুলেছে, জিটিএ নিয়ে সরকার তাদের অন্ধকারে রাখছে৷ জিটিএ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক জটিলতা নিয়ে বিরোধীদের কিছুই জানানো হচ্ছে না৷ জিটিএ-র মধ্যে নতুন এলাকা সংযোজন নিয়ে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শ্যামল সেনের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ খতিয়ে দেখার জন্য ফের একটি নতুন কমিটি যে গড়া হয়েছে, তাও অবৈধ এবং অসাংবিধানিক বলে বামফ্রন্টের অভিযোগ৷
কিন্তু ঘটনা হল, বিচারপতি শ্যামল সেনের সুপারিশ পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা৷ হুমকি দিয়েছিল, ফের পাহাড়ে লাগাতার বনধ, বিক্ষোভ, আন্দোলন শুরু করার৷ রাজ্য সরকার শ্যামল সেন কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে নতুন এক তিন সদস্যের কমিটি গঠন করায় আপাতত কিছুটা নিরস্ত হয়েছে মোর্চা৷ তারা এটাকে মোর্চারই জয় বলে দেখছে৷ তবে মোর্চা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জিটিএ চূড়ান্ত না হলে পাহাড়ে নির্বাচন হবে না, উন্নয়ন সাহায্যও পৌঁছবে না৷
রাজ্য বিধানসভায় বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলের নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র দাবি করেছেন, জিটিএ এবং পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় অবিলম্বে বিবৃতি দিক সরকার৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন