দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১সংদসীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান ইস্রাফিল আলম এমপি ডয়চে ভলেকে জানান, প্রকৃত মজুরি বাড়াতেই তারা এই প্রস্তাব দিয়েছেন৷
দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নতুন মজুরি কাঠামোর বাস্তবায়ন হলেও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে শ্রমিকদের অবস্থার তেমন উন্নয়ন হয়নি৷ ন্যূনতম মজুরি ৩ হাজার টাকা হলেও বাজার দরের সঙ্গে তারা পেরে উঠছেন না৷ আর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য চালের রেশনিং চালু করলেও তা এখন বন্ধ রয়েছে৷
শ্রম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংদসীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান ইস্রাফিল আলম এমপি এই পরিস্থিতিতে আবারো তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা করছেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমে গেছে৷ তাই শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি বাড়াতে হবে৷ কোনভাবেই তৈরি পোশাক শিল্পকে অস্থির হতে দেয়া যাবেনা৷
পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাই সংসদীয় কমিটি পোশাক শিল্পের ১২ লাখ শ্রমিকের জন্য আবারো রেশনিং চালুর সুপারিশ করেছে৷ একই সঙ্গে শ্রমিকদের জন্য ডরমেটরী নির্মান এবং কম খরচে পরিবহনের ব্যবস্থা করতে বলেছে৷ বিষয়টি মন্ত্রণালয় ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীকে জানান হয়ছে বলে জানান, ইস্রাফিল আলম৷
শ্রম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংদসীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান বলেন, শ্রমিকদের ২৪ টাকা কেজি দরে চাল দিতে হবে৷ ভর্তুকির একটি অংশ পোশাক শিল্প মালিকরা দিলে সরকারের ওপর চাপ কমবে৷ এনিয়ে তারা পোশাক শিল্প মালিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক