নতুন বছরে দুপুরে ভিড়, রাতে ফাঁকা হলো কলকাতা
নতুন বছরের প্রথম দিনে উৎসবে সামিল হতে পথে নামে কলকাতার মানুষ। এবারও নেমেছিল। সন্ধ্যার পর ভিড় কমে গেল।
ইকো পার্কের তাজমহলে
এবার জমায়েত নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। ফলে মানুষ নির্ভয়ে রাস্তায় নেমেছেন। নিউটাউনের ইকোপার্কের তাজমহলের ছবি। প্রচুর মানুষ গেছিলেন এখানে।
রাতে ফাঁকা আইফেল টাওয়ার
আবার রাতের দিকে ইকো পার্কের আইফেল টাওয়ার দেখার ভিড় ছিল একেবারেই কম।
রেকর্ড হলো না
২৫ডিসেম্বর আর ১জানুয়ারি দুটোই রোববারে পড়েছিল এবার। ফলে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। ২০১৬ সালের ১জানুয়ারি আলিপুর চিড়িয়াখানায় এক লাখ ১৬ হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল। সেটাই তাদের রেকর্ড অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভিড়। ২০২৩ সেই রেকর্ড টপকাতে না পারলো না। অবশ্য ৯০হাজারের বেশি মানুষ চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন বছরের প্রথম দিনে। সেটাই বা কম কীসের!
সকালে ফাঁকা নিকো পার্ক
নিক্কোপার্কে সকালের দিকে ভিড় ছিল না। সকালে তোলা এই ছবি থেকেই তা স্পষ্ট। তবে বেলা যত বাড়লো, ভিড়ও বাড়লো।
সরগরম বো-ব্যারাক
বো-ব্যারাকে প্রচুর অ্যাংলো ইন্ডিয়ান মানুষ থাকেন। তাই বড়দিন থেকে নতুন বছর বো-ব্যারাক জমজমাট থাকে। যেমন ছিল এবছরও।
শ্রীভূমিতে আলোয়, মেলায়
দুর্গাপুজো থেকে নতুন বছর--উৎসব পালনে সবসময়ই আগে থাকে শ্রীভূমি। দুর্গাপুজোর তুলনায় অনেক কম হলেও নতুন বছরে শ্রীভূমিতে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। বাউল গান, আলো, মেলার পরিবেশে তারা আনন্দ করেছেন।
আনন্দমেলায়
ক্রিসমাসের অনেক আগে থেকেই সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট -সহ কলকাতার অনেক এলাকা। গান-বাজনা-কবিতার কোলাহলে মুখরিত তারপাশ। নতুন বছরেও আনন্দমেলায় সকলে যোগ দিয়েছেন নিজেদের মতো করে।
দেখ আলোয় আলোয় পথ
বরাবরের মত আলোকমালায় সেজে ওঠা পার্কস্ট্রিট। আলোয় আলোয় অপরূপা।
আরো আলো, আরো আলো
শুধু পার্ক স্ট্রিট নয়, কলকাতার বিভিন্ন এলাকা এখন নতুন বছরে আলোতে সেজে উঠছে। অপরূপ আলোয় নতুন বছরের শুরু করেছে কলকাতা।
ঘরমুখি মানুষ
তবে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হয়েছে ভিড়, ঘরে ফিরেছে মানুষ। উপরের ছবিটি ইকো পার্কের। সন্ধ্যার আগেই ভিড় কমে গেছে। বর্ষশেষে তো অনেকেই সারারাত জেগে উৎসব করেছেন। নতুন বছরে তাই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরেছেন। সোমবার থেকে তো আবার সেই কাজ, বাজার, বাসের প্রতিদিনের জগতে প্রবেশ।