নববর্ষের চড়কমেলা
চড়ক, গাজন বাংলার লোকসংস্কৃতির অন্যতম পার্বণ। নববর্ষের সময়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে চড়কের মেলা হয়। দেখা যায় বহুরূপী।
চড়ক কী
চড়ক হলো শিব বন্দনার লোকায়ত সংস্কৃতি। গোটা চৈত্রমাস ধরে সন্ন্যাসীরা নানাবিধ ব্রত এবং নিয়ম পালন করেন। চৈত্র সংক্রান্তিতে তারা যোগ দেন মেলায়। সেখানে তৈরি করা হয় বিশাল চড়ক গাছ। সেই গাছ ঘিরে নানা শারীরিক কসরত করেন তারা।
চড়কের গাছে
চড়কের গাছে কসরত দেখাচ্ছেন এক সন্ন্যাসী। নিজেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গোল করে ঘুরছেন তিনি।
ছাতুবাবুর চড়ক
কলকাতায় ছাতুবাবু-লাটুবাবুর জমিদারবাড়ি শতাব্দীপ্রাচীন। দেড়শ বছর ধরে এখানে চড়কের মেলা বসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
করোনার পর
করোনার জন্য দুই বছর বন্ধ ছিল চড়ক উৎসব। এবার তা-ই মেলা ঘিরে অতিরিক্ত উন্মাদনা ছিল। প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন উত্তর কলকাতার মেলায়।
ধুনো পোড়ানোর উৎসব
এও এক লোকায়ত প্রথা। চড়কমেলার পাশাপাশি মন্দিরের বাইরে ধুনো পোড়ানো হয়। কালীঘাট মন্দিরের বাইরে তেমনই ধুনো পোড়ানো হচ্ছে।
মেলার প্রস্তুতি
সাধু-সন্তরা যাচ্ছেন মেলার দিকে। তারা গিয়ে চড়ক গাছ লাগিয়ে পুজো করার পরেই শুরু হয় মেলা।
বহুরূপীর সাজ
গ্রাম বাংলায় ঘুরলে এখনো বহুরূপীদের দেখতে পাওয়া যায়। বাংলা সাহিত্যেও বার বার এসেছে তাদের কথা। চড়কের মেলায় বহুরূপীদের দেখা মেলে। খোদ কলকাতার রাজপথে কালী সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই বহুরূপী।
সাজাবো যতনে
রাস্তায় বসেই সেজে নিচ্ছে এই খুদে বহুরূপী। সাজিয়ে দিচ্ছেন মা।
সং সাজার দিন
চড়কের মেলায় অবশ্য শুধু বহুরূপীরা সাজেন না, সাধারণ মানুষও সাজেন। চড়কে সং সাজা প্রাচীন রেওয়াজ।
উৎসবের আমেজ
চারিদিকে হানাহানির খবর। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার খবর। তারমধ্যে দুটো দিন একটু আনন্দ করে নিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি। রাস্তায় উৎসবের আবহ।