নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকেই দৃষ্টি হানোফার শিল্প মেলার
৪ এপ্রিল ২০১১রবিবার সন্ধ্যায় উদ্বোধন করা হলো মেলাটি৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সোইস ফিল্লোন যৌথভাবে করেন উন্মোচন করেন এর পর্দা৷ আজ থেকে এই মেলা খুলে দেয়া হলো সর্বসাধারণের জন্য৷ এবারের এই মেলায় সহযোগী দেশ ফ্রান্স৷
জাপানের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ এবং এর পরবর্তী তেজস্ক্রিয়তা বিকিরণের কারণে বিশ্ব যে চিন্তিত তাই প্রকাশ পাচ্ছে এই মেলায়৷ বিভিন্ন কোম্পানি নিরাপদ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের আধুনিক সব যন্ত্রপাতির প্রদর্শন করছেন এখানে৷ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই মতামত ব্যক্ত করলেন অংশগ্রহণকারীরা৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যর্কেল অভয় দিয়ে বলেন, জার্মানির পরমাণু শক্তি স্থাপনাগুলো শতভাগ নিরাপদ৷ অবশ্য তিনি আগামীর চাহিদা মেটানের ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকেই গুরুত্ব দিয়েছেন৷ তাঁর ভাষ্য হচ্ছে, ‘‘আমরা যদি নবায়নযোগ্য জ্বালানির যুগে চলে যেতে চাই, তার জন্য আমাদের প্রয়োজন একাগ্রতা৷ দরকার নতুন পথের নতুন চিন্তাধারা৷ আমি সকলকে, বিশেষ করে জার্মান কোম্পানিগুলোকে এই কাজে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি৷''
মেলায় অংশগ্রহণকারীরা জানালেন, জাপান ট্যাজিডির পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বায়ু এবং সৌর বিদ্যুতের যথাক্রমে টারবাইন ও প্যানেলের চাহিদা যে কোন সময়ের চেয়ে বেড়ে গেছে বহুগুণে৷ সেই সঙ্গে নতুন নতুন প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে কী করে নবায়নযোগ্য পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়, সে সবই এবার মেলার প্রাধান্য পাচ্ছে৷ আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই মেলা৷
গত বছর এই মেলায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল কম৷ তখন জানানো হয়েছিল বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার কারণে বেশিরভাগ কোম্পানি তাতে অংশ নেয়নি৷ কিন্তু এবারের এই মেলায় দেশি-বিদেশি ৪০০ কোম্পানি অংশ নিচ্ছে৷ আয়োজকরা বলছেন, এতোগুলো কোম্পানির অংশগ্রহণ এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে, বিশ্বের টাকা কড়ির বাজার আবারো ভালো অবস্থার দিকেই যাচ্ছে৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ