1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নভেম্বরে পরমাণু আলোচনায় রাজি ইরান

২৮ অক্টোবর ২০২১

অবশেষে বরফ গলেছে। ইরানের নতুন সরকার পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে। নভেম্বরে আলোচনা হবে।

https://p.dw.com/p/42Guf
পরমাণু চুক্তি
ছবি: picture-alliance/AP Photo/V. Salemi,

অ্যামেরিকায় জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইরানের সঙ্গে ফের পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনার চেষ্টা চলছিল। বাইডেন নিজেও একাধিকবার এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু ইরান তাতে রাজি হচ্ছিল না। অবশেষে ইরানের নতুন সরকার আলোচনায় বসতে রাজি হলো। এর ফলে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইরান সরকারের মুখপাত্র বুধবার জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষ দিকে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে তারা রাজি। তবে নির্দিষ্ট তারিখ বুধবার জানানো হয়নি। বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে তারিখও জানিয়ে দেওয়া হবে। টুইট করেও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

কূটনৈতিক মহলের ধারণা, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নতুন করে পরমাণু চুক্তিতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন। তার আগের প্রেসিডেন্টের চেয়ে এ বিষয়ে তিনি অনেক বেশি সক্রিয় বলে মনে করা হচ্ছে।

গত এপ্রিল মাস থেকে অ্যামেরিকা, যুক্তরাজ্য-সহ বিশ্বের ছয়টি উন্নত রাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত ইরান আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি। ভিয়েনায় এ নিয়ে ইরানের প্রতিনিধির সঙ্গে অন্য দেশগুলির মোট ছয় বার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু চিঁড়ে ভেজেনি। বরং দেশের ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়িয়েছে ইরান। জাতিসংঘকে পরমাণু পরীক্ষাগারের ছবি পাঠানোও বন্ধ করেছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরান যেভাবে ইউরেনিয়াম মজুত করছে, তাতে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে।

স্বাভাবিকভাবেই ইরানের বর্তমান অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামেরিকা। তবে একইসঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দ্রুত পরমাণু চুক্তির আলোচনা শেষ করতে হবে। ইরান এ নিয়ে বেশি সময় ব্যয় করার চেষ্টা করলে অ্যামেরিকা অন্যরকম ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তপ ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে যান। ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন তিনি। ফলে ইরানও চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকেই পরমাণু শক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে তীব্র বিরোধ শুরু হয় অ্যামেরিকার। অবশেষে সেই বিরোধ কাটার সামান্য আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)