নাইজেরিয়ায় বোমা হামলায় বহু হতাহত
৫ নভেম্বর ২০১১বোমা হামলা
নাইজেরিয়ার ডামাটুরু শহরে মূলত হামলা চালায় বন্দুকধারীরা৷ শুক্রবার রাতে তারা কয়েকটি থানা এবং গির্জায় বোমা হামলা চালায়৷ এরপর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয় হামলাকারীরা৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুরুতে ইয়োবি পুলিশ সদরদপ্তর এবং গির্জাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বোমা হামলা চালানো হয়৷ এরপর রাতভর বন্দুকযুদ্ধ চলে৷ আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ সংশ্লিষ্ট শহর ছাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি৷ রেডক্রস'এর একজন কর্মকর্তা শনিবার বিকেলে জানিয়েছেন, শুক্রবারের এই হামলায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬৩ জন৷ এছাড়া সেদেশের স্থানীয় সরকারের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, হামলায় আহত কয়েকশত মানুষ এখন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছে৷
পুলিশ সদরদপ্তর, থানা এবং গির্জায় হামলা
নাইজেরিয়ার উত্তরে যেখানে হামলা হয়েছে, সেখানে মূলত মুসলমানদের বাস৷ তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে খ্রিষ্টানরাও বসবাস করেন সেই এলাকায়৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে হামলাকারীরা৷ ৯০ মিনিট তাদের আক্রমণ অব্যাহত থাকে৷ সেই এলাকার একটি রোমান গির্জার পুরোহিত জানিয়েছেন, তাদের গির্জাটি পুড়ে গেছে৷ এরকম আরো আটটি গির্জায় হামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷ এছাড়া বোর্নো প্রদেশে একটি সেনা সদরদপ্তরে একাধিক আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা৷
দায় স্বীকার করেনি কেউ
এখন পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী নাইজেরিয়ায় সর্বশেষ হামলার দায় স্বীকার করেনি৷ তবে স্থানীয় জনতা দাবি করছে, বোকো হারাম'এর জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে৷ বোকো হারাম শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘পশ্চিমা শিক্ষা নিষিদ্ধ'৷ এই জঙ্গি গোষ্ঠী নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে শরিয়া আইন চালু করতে চায়৷ তবে সেদেশের সরকারি বাহিনী কঠোরভাবে বোকো হারামকে দমনের চেষ্টা করছে৷ তা সত্ত্বেও পুলিশ, সেনা, সমাজপতি কিংবা ধর্মীয় নেতাদের উপর মাঝেমাঝেই হামলা চালায় বোকো হারাম জঙ্গিরা৷ গত আগস্টে নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় অবস্থিত জাতিসংঘ দপ্তরে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে এই গোষ্ঠী৷ সেই হামলায় প্রাণ হারায় ২৪ ব্যক্তি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই