নাইন ইলেভেনে কোরআন পোড়ানোর পরিকল্পনা ফ্লোরিডায়
৭ সেপ্টেম্বর ২০১০বলাই বাহুল্য, এর ফলে গোটা বিশ্বে প্রবল প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷
ফ্লোরিডার অখ্যাত গেন্সভিল শহরে ‘ডাভ ওয়ার্ল্ড আউটরিচ সেন্টার' নামের এভানজেলিস্ট সংগঠন পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার নবম বার্ষিকী পালন করতে চায়৷ তারা এর মাধ্যমে ‘দুষ্ট শক্তি' হিসেবে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চায়৷ মাত্র ৫০ সদস্যের এই সংগঠন ইসলাম ধর্মকে শয়তানের সঙ্গে তুলনা করে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছে৷ গির্জার পাদরি টেরি জোনস সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, নাইন ইলেভেনের জন্য ইসলাম ধর্ম ও শরিয়া আইন দায়ী৷ অ্যামেরিকায় এই দুইয়ের কোনটাই স্বাগত নয়৷ মোটকথা, এটা একটা বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ৷ তবে গ্রাউন্ড জিরোর কাছে মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করেও বিতর্ক চলছে৷ তবে আশার কথা, ঐ হামলায় যারা নিহত হয়েছিল, তাদেরই কয়েকজনের পরিবার মসজিদ নির্মাণের অধিকারের পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে৷ বিরোধীরা খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টকেই ‘ইমাম ওবামা' নাম দিয়ে প্রস্তাবিত মসজিদের প্রতিবাদ জানিয়েছে৷
বলাই বাহুল্য, ইসলামি বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে৷ এমন এক ঘটনা ঘটলে বিশেষ করে ইসলামি উগ্রবাদীরা পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর নতুন এক হাতিয়ার পেয়ে যাবে৷ আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ডেভিড পেট্রেয়াস বলেন, তালেবান মহা আনন্দে প্রচারণার এই হাতিয়ারের সদ্ব্যবহার করবে৷ তাছাড়া সেদেশে মোতায়েন আন্তর্জাতিক বাহিনী আরও হুমকির মুখে পড়বে৷ ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন এক উদ্যোগের কথা জানতে পেরে হুমকি দিয়েছে৷ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পশ্চিমা দেশগুলির উদ্দেশ্যে মত প্রকাশের অধিকারের দোহাই দিয়ে ধর্মের অবমাননা প্রতিরোধ করার ডাক দিয়েছেন৷ তা না হলে ইসলামি দেশগুলির আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না, বলেন তিনি৷ ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভ দেখা গেছে৷ ইন্দোনেশিয়ার খ্রিস্টান প্রোটেস্টান্ট সংগঠন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে এই কুকর্ম বন্ধ করার ডাক দিয়েছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই