নানা অসুখের নিরাময় শক্তি ‘ভেষজ অ্যান্টিবায়োটিক’
ঋতু পরিবর্তন মানেই ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর আর বিভিন্ন সংক্রামক রোগের আগমন৷ তবে ওষধি গাছের ব্যবহার জানা থাকলে আগে থেকে যেমন সতর্ক হওয়া সম্ভব, তেমনি ঘরে তৈরি আন্টিবায়োটিক সেবন করে নানা অসুখ সারানোও যায়৷
‘ব্রণ' এর সমস্যা?
প্রায় সব অসুখের জন্যই কোনো-না-কোনো ওষধি গাছ পৃথিবীতে জন্মেছে, শুধু তা আমাদের খুঁজে নিতে হবে৷ এখানে তারই একটি নমুনা৷ যেমন ব্রণের সমস্যায় সাহায্য করে আপেলের তৈরি ভিনেগার ৷ ভালো করে মুখ ধোয়ার পর একটু তুলো আপেল ভিনিগারের মধ্যে ভিজিয়ে নিন৷ তারপর সেই তুলো মুখের ব্রণের ওপর কিছুক্ষণ ধরে রাখুন, দেখবেন পরদিনই ব্রণটি ছোট হয়ে যাবে৷
ডায়রিয়া বা পেট খারাপে গাজর
৫০০ গ্রাম গাজর একটু লবন দিয়ে এক লিটার পানিতে ১ ঘন্টা সেদ্ধ করে নিন৷ তারপর ভালো করে চটকে নিন৷ দিনে কয়েকবার এই ঘন স্যুপটি খেলে পেটের জীবাণু প্রায় নির্মূল হবে৷ ১০০ বছরের পুরোনো এই রেসেপিটি জানান জার্মানির হাইডেল ব্যার্গ শহরের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা.মোরো৷
গলা ব্যথা বা টনসিলে সালবাই পাতা
বড় এক চামচ সালবাই পাতা আড়াইশ’ মিলি লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিন৷ একটু ঠান্ডা হলে দিনে কয়েকবার তা দিয়ে গার্গল করুন৷ এভাবে কয়েকদিন করলেই গলা ব্যথা আর টনসিল পালিয়ে যাবে৷
জার্মানিতে আদা হলুদের জনপ্রিয়তা
অনেক জার্মান পরিবারে আজকাল ‘ওষধি গাছ বা ভেষজ অ্যান্টিবায়োটিক’ তৈরি করতে দেখ যায়৷ বিশেষ করে যেসব বাড়িতে শিশু-কিশোর এবং প্রবীণ রয়েছেন৷ তবে কিছুদিন আগে পর্যন্তও জার্মানিতে আদা এবং কাঁচা হলুদ অপরিচিত মসলা ছিলো৷ বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে এসবের গুণাগুণ জানার পর আজকাল সচেতন জার্মানদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং পাওয়া যাচ্ছে প্রায় সর্বত্র৷
‘ভেষজ অ্যান্টিবায়োটিক’ (18192801)
১০০ গ্রাম রসুন, ৫টি অর্গ্যানিক লেবু,৭০ গ্রাম আদা,৩০ গ্রাম কাঁচা হলুদ ভালো করে ধুয়ে ছোট করে কেটে নিয়ে ১ লিটার পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে গুড়ো করে নিন৷ এক চিমটি কালো গোল মরিচের গুড়ো মিশিয়ে চুলোয় অল্পক্ষণ গরম করার পর ২০ মিনিট ঢেকে রাখুন৷এবার তরল ছেকে কাঁচের বোতলে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন৷ শীতের মাসগুলোতে ঘরে তৈরি এই ‘ভেষজ অ্যান্টিবায়োটিক’ প্রতিদিন চার চামচ করে খেলে শীতের নানা অসুখকে দূরে রাখা সম্ভব৷
মধুর অবদান
মধুর গুণের কথা আজ আর কে না জানে৷ আপনার কি ঠান্ডা লেগে গলায় আওয়াজ আসছে না? তাহলে দিনে কয়েকবার এক চা চামচ করে মধু ধীরে ধীরে খান৷ গলার ভাইরাস, সংক্রমণ এবং জীবাণু দমন করতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে এই মধু৷
দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন ?
দাঁতের মাড়ির ইনফেকশন এড়াতে প্রতিদিন গোসলের আগে এক টেবিল চামচ সূর্যমূখী তেল মুখের ভেতর নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন৷ তারপর মুখ থেকে তেল ফেলে দিয়ে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ তেল মুখের ভেতরের জীবাণু ধ্বংস করতে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে থাকে৷