মিশরে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ
৫ আগস্ট ২০১৩মিশরে মোহাম্মদ মুরসির মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তাদের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে কারো কাছেই যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল নয়৷ মুরসি ক্ষমতায় থাকার সময় তাঁকে সব উপায়ে সমর্থন জানানোয় বিরোধীরা এবং অবশেষে ৩ জুলাই সামরিক হস্তক্ষেপে মুরসি সরে যেতে বাধ্য হওয়ার সময় নীরব ভূমিকা পালন করায় মুসলিম ব্রাদারহুডও দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী মনে করে৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছে দু'পক্ষেরই৷ তবে এ মুহূর্তে ক্ষোভটা ব্রাদারহুডেরই বেশি৷ মুরসিকে ফেরানোর জোরদার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তারা৷ তবে সংকট নিরসনের তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷
এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর কূটনীতিকরা গিয়েছেন মিশরে৷ সোমবার তাঁদের একটি দল আল-আকরাব কারাগারে গিয়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের উপনেতা খাইরাত আল-শাতেরের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে বার্তাসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে৷ আল-শাতেরের বিরুদ্ধে মুসলিম ব্রাদারহুড ক্ষমতায় থাকার সময় বিরোধীদের ওপর সহিংস হামলা পরিচালনায় ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে৷ তাঁর মামলার শুনানি শুরু হবে আগামী ২৫ আগস্ট৷
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অনুরোধে দু'জন মার্কিন সিনেটরও গিয়েছেন মিশরে৷ সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এবং জন ম্যাককেইনের সোমবারই সংকট নিরসনের জন্য অন্তর্বতীকালীন সরকার এবং বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার কথা৷ মিশরে যাবার আগে সিএনএন-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, ‘‘সামরিক বাহিনী দেশ চালাতে থাকবে এটা হয় না৷'' এ সময় তিনি অবশ্য এটাও বলতে ভোলেননি যে, মুরসির অপসারণ নিয়ে ক'দিন আগে জন কেরি যা বলেছেন তাতে তাঁরও সমর্থন রয়েছে৷ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি বলেছেন, মিশরের লক্ষ লক্ষ মানুষ আহ্বান জানিয়েছিল বলেই ৩ জুলাই সরকার পরিবর্তনে সেনাবাহিনী ভূমিকা রেখেছে৷ সামরিক বাহিনীর এ হস্তক্ষেপকে তিনি ‘অভ্যুত্থান'-ও বলেননি৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি,রয়টার্স, এপি, ডিপিএ )