নেইমারদের কান্না
৪ জুলাই ২০১৪খেলোয়াড়দের এই কান্না চিন্তায় ফেলেছে দলের কোচ লুইস ফেলিপে স্কোলারি এবং ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তিদের৷ এ কারণেই মঙ্গলবার অনির্ধারিত সফরে জরুরি ভিত্তিতে ব্রাজিলে পৌঁছেছেন ক্রীড়া মনোবিদ রেগিনা ব্রানডাও৷ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ফুটবলারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ৷ বুধবারের প্রশিক্ষণ শেষে স্থানীয় পত্রিকা ‘ফোলহা ডি সাঁও পাউলো'-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেছেন, মনোবিদের সাথে কথা বলে অনেকটাই ভালো লেগেছে তাঁর৷ এর আগে এমন কোনো প্রশিক্ষণ হয়নি৷
চিলির বিপক্ষে পেনাল্টি শুট আউটে জেতার পর নেইমার, গোলরক্ষক জুলিও সেজার, ডাভিড লুইস এবং ক্যাপটেন টিয়াগো সিলভার কান্না ভাবিয়ে তোলে কোচ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের৷ এরপরই ডাক পড়ে মনোবিদের৷ ফোলহা জানিয়েছে, ‘মনোবিদ সব খেলোয়াড়দের সাথে বসে বৈঠক করেছেন৷ গত ২০ বছর ধরে স্কোলারির সাথে কাজ করছেন মনোবিদ রেগিনা ব্রানডাও৷ স্থানীয় সিবিএফ টেলিভিশনকে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এখানে এসেছেন৷ তাঁর অন্য কাজ আছে৷ তাই দীর্ঘদিন এখানে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷
তবে কেবল আনুষ্ঠানিক সেশন নয়, প্রতিটি মুহূর্তে খেলোয়াড়দের সাথে তাঁর কথা হচ্ছে বলে জানান রেগিনা ব্রানডাও৷ বলেন ফোন, ইমেল, হোয়াটসঅ্যাপে খেলোয়াড়রা তাঁর কাছে নানা বিষয়ে পরামর্শ চাচ্ছেন৷
কেবল খেলার সময়ই নয়, প্রথম খেলায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময়ও নেইমারকে কাঁদতে দেখা গেছে৷ এছাড়া সবশেষ ম্যাচে অতিরিক্ত সময় শেষে, পেনাল্টি শুট আউটের আগে ও পরেও কেঁদেছেন তিনি৷
ব্রাজিলের প্রবীণ ফুটবলাররা বলছেন, বর্তমানের ব্রাজিলীয় তারকারা একটু বেশিই কাঁদছেন৷ ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ক্যাপ্টেন ছিলেন কার্লোস আলবার্তো৷ তিনি বলেন, ‘সেলেসাঁওদের উচিত তাদের কান্না জমিয়ে রাখা, কেননা ১৩ই জুলাই ফাইনালে জয়ের পর সেটা এমনিতেই ঝরবে৷'
এপিবি/এসবি (এপি, এএফপি)