‘নো- ফ্লাই’ আন্দোলনে বিপাকে অভিবাসীরা?
পরিবেশ বাঁচাতে বিমানে না চড়ার আহ্বান জানাচ্ছেন অনেকেই৷ সে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন সুইডিশ পরিবেশবিদ গ্রেটা টুনব্যার্গ৷ নাম দিয়েছেন ফ্লাইস্ক্যাম৷ কিন্তু সবার পক্ষে কি এ আন্দোলনে যোগ দেয়া সম্ভব?
ফ্লাইস্ক্যাম কী?
বিমানের ইঞ্জিন থেকে নির্গত হয় প্রচুর কার্বন৷ এটি ঠেকাতেই ফ্লাইস্ক্যাম বা ফ্লাইশেম আন্দোলনের ডাক দেন গ্রেটা টুনব্যার্গ৷ বিকল্প হিসেবে ট্রেনে বা জাহাজে চড়ে ভ্রমণের কথা বলছেন তিনি৷
দেখিয়েছেন গ্রেটা
এ বছরের পরিবেশ সম্মেলনে এ বিষয়টি আলোচনায় এনেছেন গ্রেটা টুনব্যার্গ৷ বিমানের পরিবর্তে নিজেও চড়েছেন নৌকায়৷
যোগ দিয়েছেন অনেকেই
জেনিফার আসামোয়াহ নামে এক জার্মান তরুণীর বোন বাস করেন ঘানায়৷ বোনের বিয়েতে যাননি তিনি, কেননা, এজন্য তাঁকে বিমানে চড়তে হবে৷ ‘‘পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমি এ কাজটি করেছি’’, বলেন তিনি৷
বেশি বিমানে চড়েন যারা
সাধারণত অভিবাসীরাই বেশি বিমান-যাত্রা করে থাকেন৷ ডর্টমুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অভিবাসীরা স্থানীয়দের তুলনায় শতকরা ৩৮ ভাগ বেশি বিমানে চড়েন৷ কারণ, স্বজনদের সাথে দেখা করতে প্রায়ই বিমানে চড়ে দেশে যেতে হয় তাঁদের৷
বিপাকে যারা
এ আন্দোলনটিতে অভিবাসীরাই বেশি বিপাকে পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ বিমান ছাড়া ইউরোপ থেকে এশিয়া কিংবা আ্যামেরিকা মহাদেশের দেশগুলোতে যাওয়া অনেক ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব বা অস্বাভাবিক ব্যয় এবং সময়সাপেক্ষ৷
অভিবাসীদের মাঝে অস্থিরতার শঙ্কা
নো-ফ্লাই আন্দোলনটি অভিবাসীদের মাঝে এক ধরেনের অস্থিরতা তৈরি করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত পরিবেশকর্মী মতিউর রহমান৷ তিনি বলেন, ‘‘আপনি যদি সবকিছুই কার্বন দিয়ে বিবেচনা করেন, তাহলে আপনি সমস্যাটিকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারবেন না৷’’
দ্বিমত অনেকেরই
‘‘বিমানে চড়লে আমার মধ্যে কোনো অস্বস্তি হয় না,’’ বলেন পরিবেশবাদী আন্দোলন ফ্রাইডেস ফর ফিউচার, বার্লিনের এক আয়োজক কুয়াং পাশচ৷ তিনি মনে করেন, ‘‘আমাদের পুরো সিস্টেমই একটি অন্যায্য ব্যবস্থার উপর দাঁড়িয়ে আছে৷’’