পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও অনলাইন মনোনয়ন চেয়ে মামলা
৯ জুন ২০২৩অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করলেন নবনিযুক্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিং। পাঁচ বছর আগের মতো একদফায় ৮ জুলাই ভোট হবে। গণনা হবে ১১ জুলাই। শুক্রবার থেকে মনোনয়ন জমা দেয়া শুরু হবে। ১৫ জুন পর্যন্ত তা চলবে।
কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের এই ঘোষণা বিরোধীদের খুশি করতে পারেনি। কারণ, দিন ঘোষণার আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, পুলিশকে দিয়েই ভোট করানোর কথা বলেছেন। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা করা যাবে কিনা, সেটাও তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেই ঠিত করবেন বলে জানিয়েছেন।
এরপরই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে আলাদা করে জনস্বার্থ মামলা করে বিজেপি ও কংগ্রেস। কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী ও বিজেপি-র আইনজীবী শ্রীজীব চত্রবর্তী প্রধান বিচারপতির কাছে মামলার দ্রুত শুনানির অনুরোধ করেন এবং প্রধান বিচারপতি তা মেনেও নিয়েছেন। শুক্রবার থেকেই শুনানি শুরু হবে।
পাঁচটা দাবি নিয়ে দুই দল আদালতে গেছে। মনোনয়ন পেশের জন্য খুব কম সময় দেয়া হয়েছে, সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে দিন ঘোষণা করা হয়েছে, অনলাইন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। গতবার সহিংসতার জন্য বহু কেন্দ্রে বিরোধীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। তখন আদালতই অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলে। ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আর শুধু জেলার কেন্দ্রীয় অফিস নয়, জেলা বিচারক ও নির্বাচন কমিশনের অফিসে মনোনয়ন পেশ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
অভিষেক যাবেন না?
বৃহস্পতিবার চার ঘণ্টা ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রী রুজিরাকে জেরা করেছে ইডি। এরপর তারা অভিষেককেও জেরার জন্য ডেকে পাঠায়। কিন্তু অভিষেক বলেছেন, নবজোয়ার যাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইডির কাছে যেতে পারবেন না।
অভিষেককে ডাকা হয়েছিল ১৩ জুন, সকাল ১১টায়। কিন্তু অভিযেক বলেছেন, ''ইডি যখনই ডাকবে, তখনই যেতে হবে, তা হয় না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ইডি দপ্তরে গিয়ে ১০-১২ ঘণ্টা নষ্ট করার মতো সময় আমার হাতে নেই। পঞ্চায়েত ভোটের পর যখন ডাকবেন, যাবো।''
অভিযেক দাবি করেন, রুজিরাকে জেরা শেষ করার ১৫ মিনিটের মধ্যে তাকে ডাকা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যদি ওরা নথি চান তো পাঠিয়ে দেব। আসলে আমাকে এবং স্ত্রী, ছেলে-মেয়েকে হেনস্থা করা হচ্ছে।''
বিরোধীদের বক্তব্য
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ''সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা মানে রাজ্যে গণতন্ত্রের উপর আঘাত। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।''
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, ''তিন হাজার পুলিশ অভিষেকের কাগজের ব্যালট রক্ষা করতে পারছে না। একদিনে এত বড় নির্বাচন ওরা করে দেবে?''
তৃণমূলের জবাব
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ''ত্রিপুরায় তো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়নি। আর আইনে কোথাও বলা নেই যে, সর্বদলীয় বৈঠক করতেই হবে।''
জিএইচ/এসিবি (পিটিআই, এএনআই)