পদত্যাগের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে লন্ডনে লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩১ মার্চ ২০১১পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশত্যাগ
মুসা কুসা একসময় গাদ্দাফির ডানহাত ছিলেন বলে জানা যায়৷ এছাড়া বহির্বিশ্বে গাদ্দাফির সরকারকে উপরে তুলে ধরাই ছিল তাঁর কাজ৷ কিন্তু সেই মুসা কুসাই পদত্যাগ করতে চাইছেন৷ এর আগে তিনি টিউনিশিয়া হয়ে লন্ডনে পৌঁছান এবং সেখানেই পদত্যাগের ইচ্ছা পোষণ করেন৷ ব্রিটেন এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে মুসা কুসা আর লিবিয়া সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে চান না৷ যুক্তরাষ্ট্র একে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মনে করছে৷ আর মুসা কুসার সিদ্ধান্তে অনুপ্রাণিত হয়ে গাদ্দাফির আরও সমর্থক একই পথে হাঁটবেন বলে মনে করছে ব্রিটেন৷ এর আগে লিবিয়ার পাঁচ কূটনীতিককে ব্রিটেন থেকে বহিস্কার করা হয়৷ উল্লেখ্য, লিবিয়ায় আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী সহ সরকারি ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে৷
শহর হাতছাড়া কেন?
এ ব্যাপারে বিদ্রোহীদের কমান্ডার মেজর জেনারেল সুলেইমান মাহমুদ বলছেন তাদের অস্ত্রের অভাব রয়েছে৷ রয়েছে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করার পর্যাপ্ত মাধ্যমের অভাব৷ তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্ব যদি তাদের সাহায্য করে তাহলে দুই সপ্তাহের মধ্যে গাদ্দাফিকে সরিয়ে দেয়া সম্ভব৷ আর তা না হলে ছয় মাসও লেগে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি৷ এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ এবং সেটা করা হলে তা জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
লিবিয়ায় মার্কিন ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা
গণমাধ্যমের খবরে এমন কথাই বলা হচ্ছে৷ নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং আকাশ থেকে অভিযানের ব্যাপারে তথ্য জোগাড় করতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ লিবিয়ায় গুপ্তচর পাঠিয়েছে৷ এবং তারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে কাজ করে যাচ্ছে৷ আর লিবিয়ায় সিআইএ'র কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একটি গোপন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ হোয়াইট হাউস এসব খবর নিশ্চিত বা প্রত্যাখ্যান কোনোটাই করতে চায় নি৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম