ভারতের সমরসজ্জা
১৯ এপ্রিল ২০১২আজ সকাল ৮টা নাগাদ ওড়িশা রাজ্যের চাঁদিপুর উপকূলের হুইলার দ্বীপ থেকে পরমাণু অস্ত্র বহনক্ষম ৫০০০ কিলোমিটার পাল্লার আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণের পর, ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও'র কর্তাব্যক্তির প্রতিক্রিয়া হলো, এই সফল উৎক্ষেপণে ভারত এক বড় ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো৷
ভারতের স্ট্র্যাটিজিক ক্ষমতা এক লাফে বেড়ে গেল অনেকগুণ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লায় আসবে চীন এবং ইওরোপের একাংশ৷ অত্যাধুনিক এই আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও চীনের পাশে জায়গা রে নিল ভারত৷
প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও'র বিজ্ঞানি ও প্রযুক্তিবিদদের অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ অদূর ভবিষ্যতে ভারতকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনে ডিআরডিও'র বিজ্ঞানি ও প্রযুক্তিবিদরা বিশেষ অবদান রাখবেন৷
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে চীনের ওপর এর প্রভাব কতোটা? প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ইন্দ্রনীল ব্যানার্জী ডয়চে ভেলেকে বললেন, চীনের গ্র্যান্ড স্ট্যাটিজির ওপর এর প্রভাব পড়বে৷ এশিয়ার পুরো স্ট্র্যাটিজিক ছকটা যাবে পাল্টে৷ এশিয়ায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা কী বাড়তে পারে? না, বাড়বেনা৷ কারণ, চীনের কাছে এর থেকেও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র আছে৷ তবে দক্ষিণ এশিয়ায় আর কোনো দেশ নেই যে দেশ এই ধরণের আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে পারে৷
পাকিস্তান প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ইন্দ্রনীল ব্যানার্জীর অভিমত, কৌশলগত দিক থেকে পাকিস্তান একটু বেকায়দায় পড়তে পারে৷ চীনের কাছ থেকে আগে পাকিস্তান যেরকম প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পেয়ে এসেছে, সেটা নাও পেতে পারে৷ চীন তাই বারবার পাকিস্তানকে বলছে সন্ত্রাস ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা করতে৷ তাই ভবিষ্যত সংকটে চীনের কাছ থেকে বেশি সাহায্য পাকিস্তান যেন আশা না করে৷
অগ্নি-৫-এর দৈর্ঘ্য ১৭ মিটার, প্রস্থ ২ মিটার, ওজন ৫০ টন৷ এক টন ওয়ারহেড বহনক্ষম৷ অগ্নি সিরিজের এই ক্ষেপণাস্ত্রে অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে৷ এর পরের প্রস্তুতি অগ্নি-৬ এবং সূর্য সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ