পরিবেশবান্ধব ব্যবসা
২৪ মে ২০১৫ডয়চে ভেলে: প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনের প্রায় দুইশ দিন বাকি৷ জলবায়ু চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?
আমি ডিসেম্বরে প্যারিসে হতে যাওয়া চুক্তি নিয়ে আশাবাদী৷ বর্তমানে এখানে ৪০টি দেশের প্রতিনিধি আছে, আলোচনা চলছে৷ এই আলোচনা থেকে অনেক পরিকল্পনা বেরিয়ে আসছে, যা ডিসেম্বরের সম্মেলনে চুক্তি সম্পাদনে সাহায্য করবে৷ এছাড়া ডিসেম্বরের আগে দফায় দফায় বেশ কিছু বৈঠকের কথা রয়েছে এই সম্মেলন নিয়ে৷
ডয়চে ভেলে: সাম্প্রতিক দুটি গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো যদি পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না নেয়, তবে ২০৫০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির বেশি বেড়ে যাবে৷ জলবায়ু সম্মেলনে এসব গবেষণার ফলাফল কী ভূমিকা রাখবে?
এটা অজানা কোন বিষয় নয়৷ বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আসছি৷ তাই এটা বলা বাহুল্য যে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে চুক্তিতে পৌঁছানো ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই৷ ধনী দেশগুলো বলে থাকে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে, তারা সবুজ গাছ লাগিয়ে তা পুষিয়ে দেযার চেষ্টা করবেন৷ কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে এটা তো খুব অল্প সমযে সম্ভব না৷ তাই অন্য চিন্তা করতেই হবে৷
ডয়চে ভেলে: এই লক্ষ্য পূরণে আর কী কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত? ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কী ভূমিকা হতে পারে?
এটা বলতেই হবে প্যারিসে যাই হোক না কেন একদিনে সবকিছু পালটে যাবে না৷ তারপরও আমরা আশা করি একটা সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাবো আমরা৷ আর সেভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবো৷
একটা বিষয় পরিষ্কার যে দেশের সরকার একা এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না, এই ক্ষমতা তাদের নেই৷ এজন্য কোম্পানিগুলোর ভূমিকা অনেক বড়৷ তাই এই বিষয়ে রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একধরনের সেতুবন্ধন রচনা করতে হবে৷
ডয়চে ভেলে: প্যারিসে বর্তমানে যে ব্যবসা সম্মেলন চলছে, সেটা জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনা প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে কতটা ভূমিকা রাখবে?
জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এ বছর বেশ কিছু বড় ইভেন্ট বা আয়োজন চলছে বিশ্ব জুড়ে৷ যেমন জি-৭, জি-টোয়েন্টিতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষযটি প্রাধান্য পাচ্ছে৷ এছাড়া আরো কিছু সম্মেলন হয়েছে৷ এছাড়া গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে ইউনিলিভার-এর মত বেশ কিছু বড় কোম্পানির প্রতিনিধিরা আলোচনায় জানিয়েছিলেন তাদের কথা৷ তারাও চান জলবায়ু বান্ধব বিশ্ব৷
ডয়চে ভেলে: ডিসেম্বরের জলবায়ু সম্মেলনে এই ব্যবসা সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আপনার প্রত্যাশা কী?
লিমায় গত জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে একটা উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল লিমা টু প্যারিস অ্যাকশন অ্যাজেন্ডা৷ তখনই ঠিক করা হয়েছিল প্যারিসের ছোট ছোট শহর থেকে বড় বড় ব্যবসা সমৃদ্ধ শহরগুলোতে এই উদ্যোগকে যাতে ছড়িয়ে দেয়া যায়৷ তাই আমরা আশা করছি ডিসেম্বরের সম্মেলনে অনেক কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে৷ তাদের মধ্য থেকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণের প্রস্তাব আসবে বলে আশা করছেন তিনি৷
নিক নাটাল বর্তমানে জার্মানির বন শহরে আছেন, যেখানে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন নিয়ে কাজ করছেন৷ ২০০১ সালে এখানে যোগ দেয়ার আগ পর্যন্ত প্রযুক্তি ও পরিবেশ নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য বেশ কিছু পুরস্কার জিতেছেন তিনি৷