‘পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহী জার্মানি’
১২ ডিসেম্বর ২০১২সোমবার, সফরের প্রথম দিনেই মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা একান্তে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত স্টাইনার৷ বৈঠকের শেষে তিনি জানান, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, উচ্চশিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, নগরোন্নয়ন, ও পরিকাঠামো উন্নয়নের মতো একাধিক ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহী জার্মানি৷ তবে তার পুরোটাই নির্ভর করছে পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা এবং লগ্নির অনুকূল পরিস্থিতির উপর৷ ভারতের অন্যান্য রাজ্য যেমন এ ব্যাপারে সচেতন এবং সচেষ্ট, পশ্চিমবঙ্গও নিশ্চয়ই একইরকম তৎপর, বলেন স্টাইনার৷
তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নয়, রাষ্ট্রদূত মিশায়েল স্টাইনার দেখা করেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন-সহ রাজ্যের প্রথম সারির অন্যান্য নেতা এবং বণিক সমাজের পুরোধাদের সঙ্গেও৷ এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগে রাষ্ট্রদূত স্টাইনার সস্ত্রীক যান জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি ঘুরে দেখতে৷ তাঁর পথপ্রদর্শকের ভূমিকা নিয়েছিলেন কলকাতায় জার্মান কনসাল জেনারেল রাইনার স্মিডশেন৷
রবীন্দ্রনাথ তাঁর সেই প্রথমবারের জার্মানি সফরের সময়েই বাউহাউস শিল্প আন্দোলনের সঙ্গে পরিচিত হন৷ দেশে ফিরে এসে তাঁরই উদ্যোগে এ দেশে বাউহাউস শিল্পধারার এক প্রদর্শনী হয়৷ সেটা ১৯২২ সালের কথা, স্মরণ করিয়ে দেন স্টাইনার৷
সন্ধ্যায় মাক্স ম্যুলার ভবনেই একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে এসে স্টাইনার বলেন, কলকাতা সব অর্থেই ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী৷ এখানে আসার পর তিনি রীতিমত ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ছেন, কারণ, বারবার দিল্লির সঙ্গে কলকাতার তফাতগুলো তাঁর নজরে পড়ছে৷ কলকাতা সব দিক দিয়েই রাজকীয়, বলেন স্টাইনার৷
মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রদূত স্টাইনার প্রথম যান ভারতীয় জাদুঘরে৷ তার পর কলকাতায় সিমেন্স-সহ একাধিক জার্মান সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়৷ এই জার্মান সিমেন্স সংস্থাই প্রথম লন্ডন এবং কলকাতার মধ্যে টেলিগ্রাফ যোগাযোগ গড়ে দিয়েছিল, সেই ব্রিটিশ আমলে৷ কলকাতার সঙ্গে জার্মানির সংযোগ এতটাই পুরনো, বলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত৷