পাকিস্তানে কোর্টে খুন ধর্মনিন্দার দায়ে অভিযুক্ত
৩০ জুলাই ২০২০তাহির আহমেদ নাসিম নিজেকে একজন নবী বলে প্রচার করেছিলেন। ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মনিন্দার অভিযোগে মামলা হয়। পাকিস্তানে ধর্ম ও ঈশ্বরনিন্দার বিরুদ্ধে খুব কড়া আইন আছে। সেই মামলারই শুনানি ছিল পেশোয়ারের আদালতে। সেখানে খালিদ নামে এক ব্যক্তি নাসিমকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালায়। আদালতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নাসিমের বিরুদ্ধে ধর্মনিন্দার অভিযোগ করেছিলেন এক মাদ্রাসা ছাত্র আওয়াইস মালিক। তিনি জানিয়েছেন, পেশোয়ারের একটি শপিং মলে তিনি তাহিরের সঙ্গে দেখা করে ধর্ম নিয়ে তাঁর মতামত শুনেছিলেন। তারপরই তিনি মামলা দায়ের করেন। তবে তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না. তাই আদালতকক্ষে গুলিতে তাহিরের মৃত্যু নিয়ে কিছু জানেন না। খালিদ কী করে রিভলভার নিয়ে আদালতকক্ষে ঢুকল তাও বোঝা যাচ্ছে না।
তাহির ছিলেন আহমদি সম্প্রদায়ের মানুষ। সম্প্রদায়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনি এই সম্প্রদায় ছেড়ে চলে যান এবং নিজেকে নবী ভাবতেন। ইউটিউবে এ নিয়ে ভিডিও আপলোড করেছিলেন। মুখপাত্রের ধারণা, তাহির মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তাহিরের হত্যাকারী অপরাধ স্বীকার করেছে। খালিদ পুলিশকে জানিয়েছেন, তাহির ধর্মনিন্দার অপরাধ করেছিলেন বলেই তাঁকে গুলি করা হয়েছে।
পাকিস্তানে ধর্মনিন্দা সংক্রান্ত আইন খুবই কড়া। এই আইন অনুসারে ধর্মনিন্দার জন্য মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ এই আইন অনুসারে সাজা পাননি। কিন্তু এই অভিযোগে বিচার বহির্ভূত হত্যা ও হিংসা হয়েছে। আল জাজিরা জানাচ্ছে, ১৯৯০ থেকে এই অভিযোগে পাকিস্তানে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ধর্মনিন্দার দায়ে অভিযুক্ত, তাঁদের পরিবারের সদস্য, আইনজীবী এবং অভিযুক্তকে খালাসের নির্দেশ দেওয়া বিচারকও আছেন।
জিএইচ/এসজি(এপি)